এক বছর আগেই নিজের বাবাকে হারিয়েছেন রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)। তার বাবা প্রসেনজিৎ ব্যানার্জী বার্ধক্যজনিত কারণে প্রয়াত হন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মেয়েকে সবসময় আগলে রেখেছিলেন রচনার বাবা। বাবা অন্ত প্রাণ ছিলেন মেয়ে। আসলে রচনা ব্যানার্জীর আজকের এই জায়গায় এসে পৌঁছানোর পেছনে তার বাবার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই বাবার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি এখনও।
বাবার মৃত্যুতে সেই সময় ভেঙে পড়েছিলেন রচনা। দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi Number One) সঞ্চালনার কাজেও তিনি ফিরতে পারেননি। এক বছর পেরিয়ে গেলেও বাবাকে হারানোর ক্ষত রচনার মনে আজও টাটকা হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটেই বাবার কথা মনে করে আবেগে ভাসলেন তিনি। আসলে এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে এসে উপস্থিত হয়েছিল ‘প্রজাপতি’ ছবির টিমের সদস্যরা।
দেব, মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবিতে বাবা এবং ছেলের মিষ্টি একটি সম্পর্কের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সেই ছবির প্রচারের জন্য দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা। এই প্রচার চলাকালীন রচনারও তার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। চোখ জলে ভরে ওঠে তার। বাবার স্মৃতিগুলো তার মনের মধ্যে ভিড় করে আসে।
রচনা জানিয়েছেন একমাত্র মেয়ে হওয়ার কারণে তিনি তার বাবার কাছে বড় বেশি আদরের ছিলেন। রচনার মা ছিলেন খুবই রাগী। তুলনায় বাবা ছিলেন অনেক বেশি শান্ত। তাই মেয়ের সব আবদার ছিল বাবার কাছেই। মেয়েকে অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে উড়িষ্যাতে মেয়ের সঙ্গেই ছিলেন রচনার বাবা।
বাবার জীবনের এত বড় আত্মত্যাগ ভুলতে পারেননি রচনা। বাবার কাছে একেবারে রাজকুমারীর মতই মানুষ হয়েছেন তিনি। বাবা তার জীবনের সবথেকে বড় পাওনা বলে দাবি করেছেন রচনা। বাবার থাকাটাই যেন তার জীবনের সবথেকে বড় আশীর্বাদ ছিল। রচনা বলেছেন বাবা হলেন বড় গাছের ছায়ার মত। যার ছায়ায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া যায়। গত বছর সেই ছায়াটাকে হারিয়ে ফেলেছেন রচনা।
প্রজাপতি ছবিতে দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও অভিনয় করেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং কনীনিকা ব্যানার্জী। মিঠুনের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দেব। সিঙ্গেল মেয়েদের জীবন সংগ্রামের গল্প বারবার উঠে আসে সমাজে। এই ছবি একজন সিঙ্গেল ফাদারের জীবনের গল্প শোনাবে। বৃদ্ধ বয়সে তার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন ছেলের বিয়ে দিয়ে বাড়িতে নতুন বউ আনা। ২৩ শে ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই ছবিটি।