ভারত তথা এশিয়ার মধ্যে ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তার পরিবার হলেন আলোচ্য বিষয়। গোটা পৃথিবী সেরা ধনকুবেরদের মধ্যে গণ্য করা হয় মুকেশ আম্বানির নাম। মুকেশ এবং তার পরিবারের কাছে দামি বাড়ি, গাড়ি, এরোপ্লেন কিংবা স্মার্টফোনের অভাব নেই কোনও। বিশেষত তার স্ত্রী নীতা আম্বানির (Nita Ambani) লাইফস্টাইল তো রীতিমত তাক লাগিয়ে দেয়।
এর আগে নীতা আম্বানির লিপস্টিকের দাম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার জানা গেল তার স্মার্টফোনের দাম। বিশ্ববাজারে এই মুহূর্তে দামী ব্র্যান্ডের অনেক স্মার্ট ফোন পাওয়া যায়। তবে মুকেশ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যে সে ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কিন্তু ব্যবহার করেন না। বিশ্বের সবথেকে দামী মোবাইল ফোনটাই ব্যবহার করেন নীতা।
নীতা আম্বানির হাতে দামি যে স্মার্টফোনটি দেখতে পাওয়া যায় সেটার দাম সোনা-হীরের তুলনায় কিছু কম নয়। নীতার লিপস্টিকের দাম জেনে ভিরমি খাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। তার ৩৯ লাখের লিপস্টিকের দাম আসলে তার হাতের স্মার্টফোনের তুলনায় কিছুই নয়। একটি বিশেষ আইফোন ব্যবহার করেন নীতা। আইফোনের দাম সাধারণত এমনিতেই বেশি। তবে নীতা যে কোম্পানির আইফোন ব্যবহার করেন তার দাম আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
নীতার হাতে যে আইফোন রয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। যেমন তেমন আইফোন নয়, এর মধ্যে রয়েছে সোনা এবং হিরেও। বিশ্ববাজারে এর দর ৪৮.৫ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩১৫ কোটি টাকা দিলে তবে এই ব্র্যান্ডের আইফোন মেলে। এমন দামি আইফোন কেবল নীতা আম্বানির হাতেই মানায়।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে নীতা আম্বানির পিঙ্ক ডায়মন্ড বসানো সোনার আইফোনের খবর। নীতার আইফোনে নাকি ৬ টি পিঙ্ক ডায়মন্ড বসানো রয়েছে। আবার এর পেছনে ২৪ ক্যারেট সোনার মধ্যে বড় আকারের গোলাপি হীরে বসানো রয়েছে। তবে শুধু গোলাপি হীরে নয়, বিরল কমলা এবং নীল রঙের হীরে বসানো আইফোনও কিন্তু বাজারে রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে দ্রুত ছড়াচ্ছিল এই খবর। অবশেষে এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন রিলায়েন্সের অন্দরমহলের কর্মীরা। সত্যিই কি নীতা আম্বানী এমন দামি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন? জবাবে রিলায়েন্সের অন্দরের লোকেরা সেই সম্ভাবনা সাফ নাকোচ করে দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন বিশ্ববাজারে এমন মোবাইল ফোন পাওয়া গেলেও নীতা তেমন কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তার ব্যবহৃত ফোন দামী হলেও তাতে সোনাহীরে কিংবা মণিমুক্তা বসানো নেই কোনও।