১৭ বছরের পথ চলার হল অবসান। ৫১০০ পর্ব পেরিয়ে অবশেষে শেষ হতে চলেছে জি বাংলার (Zee Bangla) রান্নাঘর (Rannaghor)। রান্নাঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জী (Sudipa Chatterjee) নিজের মুখে এই খবরের সত্যতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। এতদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে রান্নাঘর বন্ধ হওয়া নিয়ে নানা তরজা চলছিল। নতুন রিয়েলিটি শো ঘরে ঘরে জি বাংলা আসার পর রান্নাঘরের বন্ধ হওয়াটা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল।
আগামী ২রা জানুয়ারি থেকে জি বাংলার পর্দায় আসতে চলেছে নতুন গেম শো ঘরে ঘরে জি বাংলা। সোম থেকে রবি প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটের সময় সম্প্রচারিত হবে ইন্দ্রানী হালদারের এই নতুন গেম শো। রান্নাঘরের জায়গাতেই কার্যত আনা হতে চলেছে এই নতুন শো। প্রথমে অনুমান করা হয়েছিল রান্নাঘরের স্লট হয়ত পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। শোনা গিয়েছিল দুপুরের স্লটে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে রান্নাঘরকে। তবে এখন জানা যাচ্ছে চিরতরে বিদায় নিচ্ছে বাংলার এই রান্নার শো।
কিছুদিন আগেই সুদীপা চ্যাটার্জী রান্নাঘরের ৫ হাজার পর্ব অতিক্রম করার সেলিব্রেশন করেছিলেন। ৫১০০ পর্বে এসে বিদায় ঘোষণা করলেন তিনি। রান্নাঘরের অন্তিম শুটিং এরই মধ্যে হয়ে গিয়েছে। শুটিং এর দিনে সুদীপা ফেসবুকে লাইভে এসে বিদায় জানালেন সকলের থেকে। শুটিংয়ের শেষদিনে রীতিমত আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
রান্নাঘরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে সুদীপার নাম। সুদীপা ছাড়া রান্নাঘর কার্যত তো কল্পনাও করতে পারেন না দর্শকরা। শেষ এপিসোডে সুদীপার সঙ্গে থাকবেন শ্রীপর্ণা রায়, কাঞ্চন মল্লিকরা। এদিন ক্যামেরার পেছনে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গেও সকলের পরিচয় করিয়ে দিলেন সুদীপা। সিনেমাটোগ্রাফার থেকে স্পট বয়, সকলের সঙ্গেই লাইভে পরিচয় সেরেছেন সুদীপা।
১৭ বছর আগে ২০০৫ সালের ৯ই মে জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছিল সুদীপার রান্নাঘর। তারপর থেকে সগর্বে এতদিন পর্যন্ত সুদীপা এগিয়ে নিয়ে এসেছেন এই কুকারি শো টিকে। সুদীপা ছাড়াও বাংলার ঘরে ঘরে গৃহিণীরা এসে তাদের স্পেশাল রেসিপি শেয়ার করে গিয়েছেন এখানে। তবে টিআরপিতে একেবারেই তলানিতে ছিল এই রিয়েলিটি শো। ১ এর কাছাকাছি নম্বর পাওয়া এই কুকারি শো আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় না চ্যানেল।
২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুদীপা রান্নাঘরের দায়িত্ব সামলেছেন। তারপর তিনি কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন। তখন তার বদলে রান্না ঘরে সঞ্চালিকা হিসেবে ছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। ২০২০ সালে আবার রান্নাঘরে ফিরে আসেন সুদীপা। তবে দু বছরের মাথাতেই বেজে গেল বিদায়ের ঘন্টা। শেষের কয়েকটা দিন পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সুদীপা।