স্টার জলসাতে (Star Jalsha) বেশ ভালই চলছিল ধূলোকণা (Dhulokona) ধারাবাহিকটি। অনুরাগের ছোঁয়ার আগে এই ধারাবাহিকটি চ্যানেল টপার তো বটেই, বেঙ্গল টপার হয়েছে বহুবার। খুব ভাল টিআরপি থাকা সত্ত্বেও হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই সিরিয়ালটিকে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে তো রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে দর্শকদের। হঠাৎ করেই কেন সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল?
এই মুহূর্তে ধূলোকণা ধারাবাহিকটিকে নিয়ে দর্শকদের মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে। গল্প এখনও অনেকটাই বাকি ছিল। লালন-তিতিরের সম্পর্ক ভাঙলো না, লালন আবার ফুলঝুরির কাছে ফিরেও এল না, লালন কেন হঠাৎ ফুলঝুরিকে ভুলে গিয়ে তিতিরের প্রেমে পাগল হয়ে গেল সেটা এখনও স্পষ্ট হল না। অনেকগুলো প্রশ্ন রেখেই বিদায় নিচ্ছে ধুলোকণা। লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly) যে এই গল্পটাকেও একটা মর্মান্তিক পরিণতি দেবেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ধূলোকণা বন্ধের খবর যখন প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে তখন আনন্দবাজারের লীনা গাঙ্গুলী জানিয়েছিলেন সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঠিকই তবে তার কারণ তিনি কোনও কথা বলতে রাজি নন। তবে সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কম সময়ের মধ্যে বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন তিনি।
ইদানিং দেখা যাচ্ছে মাত্র ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই বেশ কিছু ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ধুলোকণা তবুও এক বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য সিরিয়ালের ক্ষেত্রে তো তেমনটাও হচ্ছে না। ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে শুধু টিআরপি কে দায়ী করলে ধুলোকণা কেন বন্ধ হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। কারণ এই ধারাবাহিকটি এখনও পর্যন্ত ভালই টিআরপি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে নায়ক-নায়িকার বারবার বিয়ে, পরকীয়া এসব নিয়ে সমালোচনা হতেই আছে।
অবশেষে এই বিষয় নিয়ে লীনা গাঙ্গুলী সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন দর্শকদের কাছে এখন বিনোদনের একাধিক রাস্তা খোলা আছে। বাংলা সিরিয়ালগুলো তারা যতদিন দেখতে চান, ততদিনই চলবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, দর্শকরাই আসলে সিরিয়াল দেখার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও এই অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন লীনা গাঙ্গুলী।
তবে তিনি অবশ্য গল্পের গুণমান নেমে যাওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি। লীনা গাঙ্গুলীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দর্শকদের দাবি, একঘেয়ে পরকীয়া কিংবা কুটকাচালিমূলক সিরিয়ালগুলি এবার বন্ধই হওয়া উচিত। সেই জায়গায় নতুন স্বাদের নতুন ধারাবাহিক আসুক। গল্পের গুণমান ভাল হলে দর্শকরা আবার টিভিমুখো হবেন, এমনটাই দাবি করছেন দর্শকরা।