সারা বাংলার মানুষের কাছে তার একটাই পরিচয়, তিনি হলেন দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One)। হ্যাঁ, রচনা ব্যানার্জীর (Rachana Banerjee) পরিচয় এখন আর আলাদা করে দিতে হয় না। গোটা বাংলা তো বটেই বাংলার বাইরের মানুষেরাও রচনা ব্যানার্জীকে আজ এক ডেকে চেনেন। কয়েক দশক আগে টলিউড, বলিউড এবং ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ছিলেন এক নম্বর নায়িকা। এখন তিনি সারা বাংলার সকলের দিদি।
৮ থেকে শুরু করে ৮০, বয়স যার যেমনই হোক না কেন, সারা বাংলার মানুষ এখন দিদি নাম্বার ওয়ানের ফ্যান। রচনা ব্যানার্জী একসময় যেমন নায়িকা হিসেবে বাংলার মানুষের পছন্দের অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন, এখন ঠিক সেভাবেই তিনি সারা বাংলার ঘরের মেয়েতে পরিণত হয়েছেন। তবে তার অতি বড় ভক্তরাও কিন্তু তার আসল নাম বলতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান।
রচনা ব্যানার্জীর আসল নাম কী? টলিউডের বেশিরভাগ মানুষই তা জানেন না। অথচ এই টলিউডই তাকে দিয়েছিল এই নতুন নাম। টলিউডের দেওয়া এই নতুন নাম যেমন সুন্দর, তেমনই তার আসল নামটাও বেশ মিষ্টি। আসলে টলিউডে আসার পর তার নতুন করে জন্ম হয়। টলিউডের সেরা নায়িকা হয়ে নতুন করে পরিচিতি গড়ে ওঠে তার। সেই সঙ্গে ধামাচাপা পড়ে যায় পুরোনো নামটি।
রচনাকে যে নামে এখন চেনে গোটা দুনিয়া সেই নামটা আসলে কে দিয়েছিলেন জানেন? তার এই নামটা তাকে দিয়েছিলেন জনপ্রিয় পরিচালক সুখেন দাস। কারণ রচনার আসল নামটা নাকি তার পছন্দ হয়নি। তাই ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ থেকে টলিউডের নতুন নায়িকাকে তিনি এই নামটি দিয়েছিলেন।
রচনা যখন টলিউডে প্রবেশ করেন তখন তার বিপরীতে ছিলেন তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা। ছিলেন শতাব্দী, ঋতুপর্ণা, দেবশ্রীদের মত সুপারস্টাররা। আর তখন তো টলিউডে বলতে গেলে প্রসেনজিত এবং ঋতুপর্ণার রাজত্ব চলছিল। তবে তাদের জুটিটা ভেঙে যেতেই রচনার সঙ্গে প্রসেনজিতের জুটি তখন জমে ওঠে। একসঙ্গে প্রায় ৩৫ টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তারা! ফ্লপ হয়নি একটিও।
তবে রচনার আসল নামটাও কিন্তু নেহাত ফেলনা ছিল না। একমাত্র মেয়েকে বাবা-মা ভালবেসে নাম রেখেছিলেন ঝুমঝুম। হ্যাঁ রচনা ব্যানার্জীর আসল নাম ছিল ঝুমঝুম ব্যানার্জী। তবে নায়িকা হিসেবে নাকি এই নামটা সুখেন দাসের পছন্দ হয়নি। তাই তিনি তাকে নতুন নাম দেন। এই নতুন নাম আজও বহন করে চলেছেন রচনা। খ্যাতির ভিড়ে কোথায় যেন তলিয়ে গিয়েছে তার আসল নামটি।