সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয় জি বাংলার (Zee Bangla) রান্নাঘরের (Rannaghor) সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জীকে (Sudipa Chatterjee)। ফেসবুকে তিনি কোনও পোস্ট করলেই সেখানে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় তাকে নিয়ে। কিছুদিন আগে শাড়ি-গয়না নিয়ে দারুণ সমালোচিত হতে হয়েছিল তাকে। সেই সমালোচনার ঝড় থামতে না থামতেই এবার রেস্তোরাঁতে খেতে গিয়েও সোশ্যাল মিডিয়াতে অপমানিত হলেন সুদীপা।
সম্প্রতি স্বামী অগ্নিদেব চ্যাটার্জীর সঙ্গে রেস্তোরাঁতে খেতে গিয়েছিলেন সুদীপা। প্রতিবছর দুর্গাপূজায় তার বাড়িতে ধুমধাম করে পুজো হয়। এই বছরের পূজোতে প্রচুর খাটাখাটনির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুদীপা। তাই স্ত্রীর মন ভাল করতে তাকে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলেন অগ্নিদেব। সেখানে ভাল ভাল খাবার খেয়ে তার মন ভরে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু ছবি শেয়ার করে মজা করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘অসুস্থ হওয়ার সুবিধা’। যা দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে শুরু করে দেন নেটিজেনরা। পুরনো সুইগী কান্ড মনে করিয়ে দিয়ে কেউ লিখলেন, “দরজা খুলে দিল কে?” সেই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপা জবাব দেন, ‘দারোয়ান’। নেটিজেনদের হাসি-ঠাট্টার জবাব মজার ছলেই দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
এর মধ্যে একটি ছবিতে সুদীপার হাতে একটি গ্লাসের মধ্যে খাবার দেখে কটাক্ষ করে কেউ লিখলেন, “জীবনে এইটুকু বড়লোক হতে চাই… যাতে মদের গ্লাসের ফ্রায়েড রাইস খেতে পাই!” সুদীপা শুধরে দিয়ে লিখেছেন ওটা ফ্রায়েড রাইস নয়। ওটা আসলে প্রন এবং অ্যাভোকাডো স্যালাড। অনেকটা প্রন ককটেলের মত। যদিও তাতে সমালোচনা বন্ধ হয়নি।
এদিকে এসব দেখে মনে মনে বেজায় দুঃখ পেয়েছেন সুদীপা। তার কারণ কেউ একবারও তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলেন না। তাই অভিমান করে তিনি লিখলেন, “এত লোকে এত কিছু লিখলেন-কেউ কিন্তু একবারও জিজ্ঞেস করলেন না সুদীপা কি হয়েছে তোমার? অসুস্থ কেন? এর থেকে বোঝা গেল আমি মরে গেলেও আপনারা আমার চিতায় ফুলের মালা গুনবেন। তাতে খুঁত ধরবেন। বানান ভুল ধরবেন। আমাকে দেখবেন না, তাই তো? কি নিষ্ঠুর।”
এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছেও মনের কষ্ট উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে এর আগেও তাকে এভাবে অপদস্থ হতে হয়েছে। তাই এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখন আর এসব দেখে তার রাগ হয় না। কিন্তু মন খারাপ লাগে। যিশু খ্রীষ্ট যেমন বলেছিলেন ‘ওরা জানে না ওরা কি করছে’, “সুদীপাও মন্তব্য করেছেন, ভগবান এরা জানে না এরা কী করছে। এদের ক্ষমা কোরো।”