‘মা আমরা এত বড়লোক কেন’, ছেলের প্রশ্নের এই উত্তর দিয়েছিলেন টুইঙ্কেল খান্না

বলিউড (Bollywood) অভিনেতা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) বছরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। আবার তার স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্নার (Twinkle Khanna) সম্পত্তির পরিমাণও কিছু কম নয়। টুইঙ্কেল খান্না বলিউডের নামী তারকা রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার (Dimple Kapadia) মেয়ে। বলতে গেলে তারকা পরিবারে মুখে সোনার চামচ নিয়েই জন্মেছেন টুইঙ্কেল। এছাড়াও তিনি নিজে একসময় অভিনয় করতেন এবং বর্তমানে লেখিকা হিসেবে তার বেশ মর্যাদা আছে। এমন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মে অক্ষয়-টুইঙ্কেলপুত্র আরভের মনে একবার প্রশ্ন উঠেছিল, তারা এত বড়লোক কেন?

সম্প্রতি টুইক ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আলাপচারিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন টুইঙ্কেল খান্না। ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন তথা জনপ্রিয় লেখিকা সুধা মুর্তি টুইঙ্কেলের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন। সেখানে কথায় কথায় বৈভব-বিলাসিতার মধ্যে বেড়ে ওঠার সেলিব্রিটি সন্তানদের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানেই সন্তানদের নিয়ে নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন টুইঙ্কেল ও সুধা।

বিলাসিতার মধ্যে বেড়ে ওঠা সেলিব্রিটি সন্তানেরা অনেক সময় আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের জীবনের কষ্ট এবং অভাব দেখে নিজেদের দোষী বলে ভাবতে শুরু করে। টুইঙ্কেল সুধাকে প্রশ্ন করেন, এমন পরিস্থিতিতে তিনি নিজের সন্তানকে কেমন ভাবে সামলেছেন? উত্তরে সুধা জানান, একবার তিনি তার ছেলে রোহানকে নিয়ে আদিবাসী অঞ্চলে গিয়েছিলেন। তখন রোহানের বয়স মাত্র ১৩ বছর। আদিবাসীদের দেখিয়ে রোহানকে তিনি বলেছিলেন, এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা রোহানের থেকেও অনেক বেশি প্রতিভাধর। তবে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে তারা তাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারছেন না। সেদিন তিনি সন্তানকে বুঝিয়েছিলেন, রোহান জীবনে যা পেয়েছেন তা যেন তিনি হেলায় না হারান। তার কাছে যা আছে তার উপযুক্ত মর্যাদা দেন।

এই প্রসঙ্গে টুইঙ্কেল বলেছেন, একবার আরভ তাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন তারা এত আরামে থাকেন? অন্যান্য মানুষের তুলনায় কেনই বা এত বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন? টুইঙ্কেল তখন ছেলেকে উত্তর দিয়েছিলেন, “যখন মুখে রুপোর চামচ নিয়ে জন্মেছ তখন তা যত্ন ও মর্যাদার সঙ্গে সামলানোরও দায়িত্ব তোমাকেই নিতে হবে। আর যদি সেই চামচ রুপোর না হয় প্লাস্টিকের হয়, তবুও সামলাতে হবে তোমাকেই।

Here's what Twinkle Khanna told son Aarav when he asked why they're rich

শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সেই চামচ দিয়ে যখন খাবার তুলবে চেষ্টা করবে সেই খাবারের ভাগ তাঁদেরও দিতে যাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কেউ নেই!’ নিজের বক্তব্য শেষে টুইঙ্কেলের সংযোজন, ‘ সেদিনের পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টে গেছিল আরভ। বুঝেছিল বৈভব, বিলাসিতাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যায়’।”