এই মুহূর্তে টলিউডের (Tollywood) সুপারস্টার বলতে প্রসেনজিতের পর জিৎ এবং দেবকেই (Dev) বোঝেন দর্শকরা। করোনার পর থেকে দেবের প্রায় প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে ভাল চলেছে। দেব এখন নিজের প্রযোজনা সংস্থায় অভিনব ভাবনা থেকে ছবি বানাচ্ছেন যা দর্শকরা পছন্দ করছেন। তবে এহেন সুপারস্টারের জীবনেও নাকি একসময় ঘনিয়ে এসেছিল অবসাদের (Depression) চরম অন্ধকার।
টলিউডে কেরিয়ার শুরু করার পর প্রথম কয়েকটা বছর দেবের ছবি বেশ ভালই চলে বক্স অফিসে। কিন্তু তারপর তার বেশ কিছু ছবি পরপর ফ্লপ হতে থাকে। এই ব্যর্থতা সহজ ভাবে নিতে পারেননি দেব। সেই সময় মানসিক অবসাদ জাঁকিয়ে বসেছিল তার মনে। সম্প্রতি আসন্ন ছবি ‘কাছের মানুষ’ এর প্রচারে এসে জীবনের সেই অন্ধকার দিক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।
দেব বলেন রাজনীতিতে প্রবেশের পর যখন তিনি সাংসদ হলেন তখন তার একের পর এক ছবি ফ্লপ হচ্ছিল। ওই সময় নায়িকারাও তাকে এড়িয়ে চলতেন। তখন নাকি অনেকেই দেবকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন তিনি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছেন! তবে দেব নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে নিজেকে আবার আগের জায়গাতে ফিরিয়ে এনেছেন।
দেব বলেছেন তার শেষ ৪ টি ছবি বক্স অফিসে ভালই চলেছে। তাই এখন তিনি মনে করেন জীবনে কোনও কিছু শেষ হওয়া মানে জীবনটাই শেষ হয়ে যাওয়া নয়। সব পরিস্থিতি থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। তিনি তেমনটাই করে দেখিয়েছেন। তার আসন্ন ছবি ‘কাছের মানুষ’ সিনেমাতেও ডিপ্রেশন দেখানো হয়েছে। তাই বলে এই ছবিটি কিন্তু একেবারেই ডিপ্রেশিং নয়।
টলিউডের এই দুর্দিনে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে বলিউডে কিংবা অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে। তবে দেব তেমনটা ভাবেন না। দেবের মতে তিনি এখানেই খুশি। তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন সবাই যদি বাংলা ছবি থেকে চলে যায় তাহলে বাংলাতে কে কাজ করবে? তারা চলে গেলে বাংলা ছবিকে দেখবে কে? দেব পালিয়ে যেতে পারবেন না, সাফ বলে দিয়েছেন।
তার এই ছবিতে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীও রয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। দেব জানিয়েছেন তার সঙ্গে প্রসেনজিতের কমফোর্ট জোন তৈরি হয়ে গিয়েছে এই সিনেমাটি করে। তারা কেউ কখনও একে অপরের উপরে প্রভুত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন না। দেব-প্রসেনজিৎ দুজনেই এই ছবিতে কাজ করতে পেরে খুশি, সাক্ষাৎকার এমনটাই বলেছেন অভিনেতা।