গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম সেরা ধারাবাহিক (Bengali Mega Serial) হিসেবে নিজের জায়গা থেকে এক চুলও নড়েনি মিঠাই (Mithai) রানী। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়াতে মিঠাইয়ের যে ফ্যানবেস রয়েছে তার কাছে পাত্তা পাবে না অন্য কোনও সিরিয়াল। ভক্তদের কাছে মিঠাই ধারাবাহিক হল ইউনিক, এখানে নেই সাংসারিক কুটকাচালি, পরকীয়া, ত্রিকোণ প্রেমের রেষারেষি।
মিঠাইতে শুধুই রয়েছে যৌথ পরিবারের একটা মিষ্টি মধুর গল্প। এখানে দেখানো হয় পরিবারের সমস্ত সমস্যার মোকাবিলা কিভাবে করে মোদক পরিবার। শেষে কিনা এই মিঠাইয়ের বিরুদ্ধেই জলসা ভক্তরা কপি করার অভিযোগ করলেন! জনৈক জলসা ভক্ত সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করে দেখিয়ে দিয়েছেন মিঠাই নাকি স্টার জলসার জনপ্রিয় খড়কুটো (Khorkuto) ধারাবাহিকের কপি!
ট্যাগ লাইন থেকে শুরু করে গল্পের কনসেপ্টটা পর্যন্ত মিঠাই নাকি চুরি করে নিয়েছে খড়কুটো থেকে! এমনই অভিযোগ করেছেন ওই নেটিজেন। তার দাবি মিঠাই। খড়কুটো থেকে ট্যাগ লাইন কপি করেছে। খড়কুটোতে ট্যাগ লাইন ছিল ‘সুখে-দুখে একসাথে’, আর মিঠাইয়ের ট্যাগলাইন ‘সুখে দুখে মিষ্টি মুখে’! শুধু তাই নয় যৌথ পরিবারের যে কনসেপ্ট, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে যে রসায়ন, সেটাও নাকি খরকুটোতেই প্রথম দেখা গিয়েছিল।
শুধু কি তাই? মিঠাইতে খলনায়িকা তোর্সাকেও অনেকটা খড়কুটোর তিন্নির স্টাইলে বানানা বলে দাবি করেছেন জলসা ভক্তরা। মিঠাইকে তাই ইউনিক নয় বলে মোটেই মানতে চান না তারা। নেগেটিভিটি, ভিলেন ছাড়াও যে গল্প এগোনো সম্ভব তা প্রথম ‘খড়কুটো’তেই দেখানো হয়। মিঠাইয়ের নিজস্বতা, স্বতন্ত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
তবে জলসা ভক্তদের এই দাবি মোটেও মানতে রাজি নন মিঠাই ফ্যানেরা। তারা প্রমাণ করতে মরিয়া মিঠাই কোন দিক থেকে আলাদা। উল্লেখ্য খড়কুটো কিছুদিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার আগে টিআরপির অভাবে ধারাবাহিকটিকে সন্ধ্যের প্রাইম টাইম থেকে দুপুরের স্লটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। টিআরপি থাকুক বা না থাকুক, খড়কুটো বন্ধ হলেও এই ধারাবাহিক একটা চিরন্তন ছাপ ফেলে দিয়েছে দর্শকদের মনে।
মিঠাইও ঠিক এমনভাবেই আর পাঁচটা সাধারণ ধারাবাহিকের থেকে আলাদা। তবে ধারাবাহিকটি মোটেও খড়কুটোর জেরক্স নয়! পাল্টা এমনই দাবি করছেন মিঠাই ভক্তরা। তাদের কাছে মিঠাই রানীই হল সব সিরিয়ালের সেরা। টানা ৫৬ বার টপার হওয়ার রেকর্ড এই পর্যন্ত আর কারও নেই। মিঠাইয়ের সাফল্যে হিংসা করেই এসব পোস্ট করা হচ্ছে বলে পাল্টা দিচ্ছেন তারাও।