হিন্দি টেলিভিশনে (Hindi television) একসময় ছোটদের জন্য সম্প্রচারিত হত ‘সোন পরী’ (Son Pari)। তবে পরীদের নিয়ে এই কল্পকাহিনী নির্ভর ধারাবাহিক উপভোগ করতেন ৮ থেকে ৮০ সকলেই। এই ধারাবাহিকের যিনি প্রধান চরিত্র, সেই সোন পরী বা সোনা আন্টি আজ কোথায় আছেন জানেন? এই ধারাবাহিকের সুবাদেই তিনি পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও পরবর্তীতে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই পাওয়া গিয়েছে তাকে।
ছোট থেকে বড় সকলেরই খুব প্রিয় সোন পরীর আসল নাম মৃণাল কুলকার্নি (Mrinal Kulkarni)। আদতে তিনি মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার ছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ২১শে জুন। পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে তিনি দর্শন শাস্ত্রে গবেষণা করার কথা ভেবেছিলেন। তবে খুব ছোট বয়স থেকেই তার কাছে একের পর এক অভিনয়ের অফার আসতে শুরু করে।
তার বয়স যখন মাত্র ১৬ তখনই তিনি অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। অতটুকু বয়সেই একের পর এক ছবি এবং ধারাবাহিকের অফার আসতে থাকে তার কাছে। জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক বিউটি প্রোডাক্ট ‘ভিকো’র বিজ্ঞাপনের মুখ হয়েছিলেন তিনি। এরপর তাকে মারাঠি টিভি শো ‘স্বামী’তে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই ধারাবাহিককে তিনি পেশওয়া মাধবরাওয়ের স্ত্রী রমাবাই পেশওয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
এরপর মৃণাল ‘শ্রীকান্ত দ্য গ্রেট মারাঠা’, ‘হাসরাতেন’, ‘দ্রৌপদী’, ‘মীরাবাঈ’, ‘টিচার’, ‘খেলা’, ‘স্পর্শ’ এর মত একাধিক টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তবে তাকে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা এনে দেয় হিন্দি টেলিভিশনের ‘সোন পরী’ ধারাবাহিকটি। এছাড়া তিনি বলিউডেরও বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘মেড ইন চায়না’, ‘লেকার হাম দিওয়ানা দিল’, ‘কুছ মিঠা হো যায়ে’।
শুধু অভিনয় নয়, চিত্র পরিচালক হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম পেয়েছেন মৃণাল। ‘তি এবং তি এবং ফরজান্দ’ নামের একটি ছবি তিনি পরিচালনা করেছিলেন। তার পরিচালিত এই ছবিটি সিনেমা হলে বেশ হিট হয়েছিল। বহু বছর বাদে আবারও হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির হাত ধরে।
View this post on Instagram
হিন্দি এবং মারাঠি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিয়ে করেছেন তার ছোটবেলার বন্ধু রুচি কুলকার্নিকে। ১৯৯০ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র ছেলের নাম ভিরাজাস। তিনিও মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করেন। বর্তমানে মৃণালয়ের বয়স ৫১ বছর। তবে আজও পরীর মতই সুন্দরী তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বেশ অ্যাকটিভ থাকেন। ৯০ এর দশক থেকে আজ পর্যন্ত সোন পরীকে মোটেই ভুলে যাননি দর্শকরা।