করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan) এবং সেইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বড় সন্তান তৈমুর আলি খান (Taimur Ali Khan)। জন্মের পরমুহূর্ত থেকেই মিডিয়ার ক্যামেরার নজরে থাকে সে। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর বয়স হল তার। এই পাঁচ বছর যিনি তার দেখাশোনা করেছেন, করিনা এবং সেইফের পর প্রতি মুহূর্তে তার খেয়াল রেখেছেন, তিনি হলেন তৈমুরের ন্যানি বা বেবিসিটার অর্থাৎ আয়া, সাবিত্রী।
মিডিয়া সব সময় তৈমুরকে ক্যামেরাবন্দি করতে মুখিয়ে থাকে। তৈমুরকে কখনও নজর ছাড়া করেন না সাবিত্রী। তৈমুরও তার সঙ্গ বেশ পছন্দ করে। সাবিত্রীর সঙ্গে খেলতে কিংবা সময় কাটাতে ছোট থেকেই বেশ পছন্দ করে পাঁচ বছরের এই খুদে। তবে তৈমুর নাকি তার আয়ার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে! মিডিয়ার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘নবাব পুত্র’ তৈমুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে করিনা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোথাও যাচ্ছেন। দরজা দিয়ে বেরিয়ে করিনা প্রথমে উঠলেন গাড়িতে। তৈমুর তখন পেছন পেছন তার আয়া সাবিত্রীকে ধমক দিতে দিতে আসছে! সাবিত্রী তার পিঠে হাত দিয়ে তাকে গাড়ির কাছে আনার চেষ্টা করছিলেন। তৈমুরের সেটা একেবারেই না পসন্দ। সে আঙ্গুল উঁচিয়ে সাবিত্রীকে ধমক দিয়ে বলে, “আমার গায়ে হাত দেবে না”!
এরপর মায়ের সঙ্গে গাড়িতে গিয়ে উঠে বসে তৈমুর। সাবিত্রীও উঠলেন গাড়িতে। এই দৃশ্য দেখে নেটিজেনরা বেজায় চটে উঠলেন। রেগেমেগে কেউ লিখলেন, “এত সাহস কী করে হয় আয়ার সঙ্গে এমন আচরণ করার?” কেউ আবার লিখলেন, “এর বাবাও বোধহয় বাড়িতে তার কর্মচারীদের সঙ্গে এমনই ব্যবহার করেন।” তৈমুরের এবং করিনার ছোট ছেলে জহাঙ্গিরের জন্মের সময়ে তাদের আয়া সাবিত্রী শিরোনাম দখল করেছিলেন। পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে আসেন তিনি বারবার।
তৈমুরের আয়ার মাসিক বেতন দেড় লাখ টাকা। ওভারটাইম মিলিয়ে পান এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর বিদেশ ভ্রমণ তো আছেই। তৈমুরের আয়ার মাসিক মূল বেতন দেড় লাখ টাকা। এটা এক লাখ ৭৫ হাজারে পৌঁছায়, তবে তা নির্ভর করে তিনি অতিরিক্ত কত সময় ঘরে থাকছেন তার ওপর। এই শিশুর সাথে অতিরিক্ত যত ঘণ্টা ব্যয় করেন, তার ওপর ভিত্তি করে অর্থ পান। এর সাথে তাঁর জন্য রয়েছে একটি গাড়ি।
View this post on Instagram
মুম্বাইয়ের জুহুতে হাই-প্রোফাইল এজেন্সি আছে, যারা সেলিব্রেটিদের সন্তানের জন্য গৃহকর্মী ঠিক করে দেন। নিয়োগের আগে গৃহকর্মীর অতীত, পরিবার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয় ওই এজেন্সি। মেডিক্যাল ইতিহাস থেকে আর্থিক অবস্থা, সবকিছুই বিস্তারিত জানে তারা। পুলিশ প্রতিবেদনসহ সব ডকুমেন্ট হাতে পাওয়ার পর এজেন্সি অভিভাবকদের নিশ্চিত করেন। সাইফ-কারিনার ছেলে তৈমুরকে দেখভাল করা তো আর সাধারণ কাজ নয়, তাই না?