প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতীয়দের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। বিশেষ করে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে এই নথি আবশ্যক। প্যান কার্ড আবার পরিচয় পত্র হিসেবেও ব্যবহার হয় বিভিন্ন জায়গায়। ভারতের ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট প্যান কার্ডের মাধ্যমে ১০টি সংখ্যার একটি আলফা নিউমেরিক কোড দেয়, এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আপনার যাবতীয় তথ্য। তবে ৯৯% মানুষ জানেন না প্যান কার্ডের এই ১০টি সংখ্যার আসল মানে।
প্যান কার্ডের ১০ টি সংখ্যার মানে কী?
প্যান কার্ডের এই ১০টি সংখ্যা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে আপনি এর মধ্যে ৫টা ভাগ দেখতে পাবেন। এই ৫ টা বিভাগের মানে এইরকম –
১. প্রথম তিনটি আলফাবেটিক অক্ষর : প্যান কার্ডের নম্বরের শুরুতেই থাকে তিনটি ইংরেজি অক্ষর। AAA থেকে ZZZ পর্যন্ত রানডাম অর্ডারে সাজানো থাকে এই তিনটি অক্ষর। এগুলোর তেমন কোনও মানে নেই। এই তিনটি অক্ষর আপনার সম্পর্কিত তথ্য বহন করে না।
২. চতুর্থ অক্ষর : এরপর যে চতুর্থ অক্ষরটি থাকে সেটা হোল্ডারের ক্যাটাগরি বোঝায়। যেমন
P – individual,
C – Company,
H – Hindu Undivided Family,
A – Association Of Persons,
B – Body Of Individual
G – Government Agency
L – Artificial Judicial Person
F – Farm/Partnership
T – Trust
৩. পঞ্চম অক্ষর : এই অক্ষরটি ওই ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের নামের প্রথম অক্ষর বোঝায়।
৪. পরের ৪ টি সংখ্যা : এরপরের ৪ টি সংখ্যা ০০০১ থেকে ৯৯৯৯ এর মধ্যে সিকোয়েন্স অনুসারী দেওয়া থাকে। প্রত্যেক নতুন প্যান জেনারেশনে একটার পর একটা বাড়ে।
৫. শেষের অক্ষর : শেষের ইংরেজি সংখ্যাটি একটি চেকসাম ক্যারেক্টার। যা অ্যালগরিদমের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় যাতে প্যান নম্বরটি ভুল না হয় কিংবা জাল না করা যায়।
একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে। ধরা যাক কারও প্যান নম্বর, ABCPR1234D। এখানে ABC আলফাবেটিক সিরিজ। P অর্থাৎ ইন্ডিভিজুয়াল মানে ব্যক্তি বোঝাচ্ছে। R অর্থাৎ সেই ব্যক্তির নামের প্রথম অক্ষর। ১২৩৪ সিকোয়েন্স নাম্বার এবং সবশেষে যে ইংরেজি অক্ষরটি রয়েছে D সেটা ওই ব্যক্তির চেকসাম ক্যারেক্টার।
কোথায় কোথায় প্যান কার্ড লাগে?
প্যান কার্ড ভারতের ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া হয়। তার মানে এই নয় এই নম্বর শুধু ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করতে লাগে। প্যান কার্ড দিয়ে ব্যাঙ্কিং, বেশি টাকার লেনদেন, ইনভেস্টমেন্ট, লোন নেওয়া, সম্পত্তির কেনাবেচাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজও হয়।