ফের একবার আন্তর্জাতিক মহলে উজ্জ্বল হল বাংলার মুখ। সৃজিত মুখার্জির সিনেমার হাত ধরে আরও একটা নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল বাংলা সিনেমা। সৃজিতের অতি উত্তম সিনেমাটি লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে। এই সিনেমাটি বাংলা সিনেমা শুধু নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা পৃথিবীর সিনেমার মধ্যে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এমন সিনেমা গোটা বিশ্বে আর কখনও তৈরি হয়নি। কেন এই সিনেমাটি আর পাঁচটা সিনেমার থেকে আলাদা জানেন?
কেন লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেল অতি উত্তম?
২০২৪ সালে সুজিত মুখার্জির পরিচালনায় মুক্তি পায় এই সিনেমা। সিনেমাটিতে উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন। এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল মহানায়ক উত্তম কুমারকে আবার সিনেমার পর্দায় জীবন্ত করে তুলে ধরা। অসম্ভব এই কাজটি করেছিলেন সৃজিত মুখার্জি। ছবিতে ২৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের দৃশ্য উত্তম কুমারের পুরনো বাংলা ছবির ফুটেছে নেওয়া হয়েছে। এত দীর্ঘ আর্কাইভাল ফুটেজ এর আগে কখনও অন্য কোনও সিনেমাতে ব্যবহার হয়নি।
প্রধানত এই ছবিতে টাইম ট্র্যাভেল দেখানো হয়েছিল। অতি উত্তম তৈরি করতে অনেক টেকনিক্যাল কৌশল ব্যবহার করতে হয়েছে নির্মাতাদের। পুরনো ফুটেজের সঙ্গে ভিএফএক্স মিশিয়ে তৈরি হয়েছে একটা মাস্টারপিস। লিমকা বুক অফ রেকর্ডস এই সিনেমার প্রশংসা করেছে। ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি এবং সৃজিত মুখার্জির পরিচালিত এই সিনেমা নিঃসন্দেহে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি মাস্টারপিস।
আরও পড়ুন : বাংলা ছবির এই অভিনেত্রী দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের নাতনি
আরও পড়ুন : প্রবল যৌন চাহিদা থেকে আত্মহত্যা, ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়
অতি উত্তম নিয়ে কি বলেছেন সৃজিত মুখার্জি?
সৃজিতের কথায়, ‘‘ছোট থেকেই লিমকা বুক অফ রেকর্ডস সংগ্রহ করি। কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবিনি ছবি বানাতে এসে সেই বইতে আমার নাম উঠবে। তবে সেটা ঘটেছে। প্রযোজনা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই। ছবিতে সবচেয়ে লম্বা আর্কাইভ্যাল ফুটেজ থাকার কারণে ‘অতি উত্তম’ লিমকা বুক অফ রেকর্ডস-এ জায়গা করে নিয়েছে। এটা ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম। আমাদের হাতে শংসাপত্র এসেছে। যাঁরা ‘অতি উত্তম’ দেখেছেন এবং সাপোর্ট করেছেন, তাঁদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।’’