ভারতের সঙ্গে শত্রুতার ফল পাকিস্তানের জন্য কখনোই ভালো হয়নি। বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা আরও করুণ। অর্থনীতির পাশাপাশি এখন সংকটে সেই দেশের বিনোদন দুনিয়া। ভালো ছবির অভাবে একটার পর একটা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওই দেশে। টিকিটের দাম অগ্নি মূল্য। জনপিছু ২০০০ টাকা করে সিনেমা হলের টিকিটের দাম উঠেছে ওই দেশে। কিন্তু পাকিস্তানি সিনেমা জগতের এমন দুর্দশা কেন?
২০১৮ থেকে এই পর্যন্ত পাকিস্তানের ৪০ শতাংশ সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। ৩৬ টি সিনেমা হলে ৫৮ টি পর্দা এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে। এছাড়াও আরো নয়টি সিনেমা হল এখন অস্থায়ীভাবে বন্ধ। আসলে পাকিস্তানি সিনেমা বিষয়বস্তু ও টাকার অভাবে একপ্রকার খেই হারাচ্ছে। তার উপর দর্শকদের চাহিদাও দ্রুত বদলাচ্ছে। এখন সিনেমা দুনিয়ায় টিকে থাকতে হলে ললিউডকে নিয়মিত সিনেমা মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু টিকিটের যা দাম, তাতে সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা এখন স্বপ্নের মত। কেবল উচ্চবিত্তের কিছু গ্রাহকের জন্যই আজও টিকে রয়েছে পাকিস্তানের বাকি কিছু সিনেমা হল।
একদিকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে টাকার অভাব, অন্যদিকে ভালো মানের কনটেন্টের অভাব, এই দুই কারণেই পাকিস্তানি সিনেমার হাল খারাপ। তার উপর আবার ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে বলিউড সিনেমা সেই দেশে মুক্তিও বন্ধ করা হয়েছে। এমনটা একবার দুবার নয় ঘটেছে বারবার। তার ফলে অবশ্য নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ছোট ছোট শহরের সিনেমা হলগুলো সব বন্ধ হয়েছে। পাকিস্তানে সিনেমার বাজার এখন প্রায় নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন : দীপিকা, আলিয়া নন! বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কে?
আরও পড়ুন : স্ত্রী ২ এর পর এই হরর ইউনিভার্সে আর কোন কোন সিনেমা আসবে? কোনটির মুক্তি কবে?
পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করায় সিনেমা হলগুলো থেকে সরকারের আয়ে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। এখন পাকিস্তানি দর্শকরা সিনেমা হলে যাওয়ার তুলনায় টিভি এবং ওটিটিতে কনটেন্ট দেখা । আগে যেখানে গোটা পাকিস্তানে একশটির বেশি স্ক্রিন ছিল এখন সেখানে মাত্র ৬০ টি সিনেমা হল কোন রকমের টিকে আছে। প্রত্যেক বছর হাতে গুনে একটি দুটি সিনেমা তৈরি হচ্ছে বটে কিন্তু সেসবের দিকে পাকিস্তানি দর্শকদের আগ্রহ তেমন থাকে না।