জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী জড়িয়েছেন দেহ ব্যবসায়! অন্ধকারে কোথায় হারিয়ে গেলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী হয়েও নাম জড়িয়েছিল দেহব্যবসার সঙ্গে। অন্ধকারে কোথায় তলিয়ে গেলেন ‘মাকড়ি’ অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ? ‘মাকড়ি’ সিনেমার সেই ছোট্ট অভিনেত্রী অতটুকু বয়সে যমজ বোনের দুই বিপরীতমুখী চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে সকলের নজর কেড়েছিলেন। তার ‘পাঙ্গা না লে’ গানটি আজও অনেকের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু বড় হয়ে সেই অভিনেত্রীই শুরু করেন দেহ ব্যবসা। হাতেনাতে ধরা পড়ার পর প্রায় শেষ হয়ে যায় তার কেরিয়ার।

জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ

২০০২ সালের সিনেমা ‘মাকড়ি’তে শিশুশিল্পী হিসেবে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন শ্বেতা। এরপর ২০০৫ সালে ইকবাল সিনেমাতে খাদিজার ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। তারপর বহুদিন তার কোনও খবর ছিল না। অনেকেই ভেবেছিলেন শ্বেতা বড় হয়ে অনেক বড় অভিনেত্রী হবেন। অনেক সুনাম অর্জন করবেন। কিন্তু বড় হয়ে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে প্রচুর দুর্নাম রটেছিল তার।

Shweta Basu Prasad

দেহ ব্যবসায় কেন নেমেছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ?

২০১৪ সালে হঠাৎ হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে দেহব্যবসার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শ্বেতাকে। এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বলিউডে। নিজেকে বাঁচাতে শ্বেতা বলেন তাকে ভুল বুঝিয়ে এই কাজে বাধ্য করা হয়েছিল। বলিউডের বহু নায়িকাকেই কেরিয়ার বাঁচাতে এমন কাজ করতে হয়। তিনিও না বুঝেই এই ভুলটা করে ফেলেছেন। পুলিশের দাবি ছিল টাকার বিনিময়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। যদিও তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ আদালতে দাখিল করতে পারেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন : পেটে মদ পড়লেই অন্য মানুষ! রাজেশ খান্নার সব অত্যাচার ফাঁস করে দিলেন লিভ ইন পার্টনার

Bollywood

আরও পড়ুন : কঠিন রোগে আক্রান্ত আরমান মালিকের ছেলে! কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুই স্ত্রী

শ্বেতা বসু প্রসাদের সিনেমা

পরে দা কাশ্মীর ফাইলস, দা তাসখন্দ ফাইলসের মতো বলিউড সিনেমা, চন্দ্রনন্দিনী নামের সিরিয়াল এবং হটস্টারে ক্রিমিনাল জাস্টিসের মত জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজে দেখা মিলেছিল তার। ২০১৮ সালে তিনি রোহিত মিত্তাল নামের এক চলচ্চিত্র নির্মাতাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০১৯ সালেই তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর আর ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি শ্বেতাকে। শ্বেতার জীবনে যে বিতর্ক রয়েছে তাতে অনেকেই তার নিন্দে করেন, আবার অনেকে সমবেদনাও প্রকাশ করেন। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বলিউড বহিরাগত নায়িকাদের কীভাবে জোর করে বা পরিস্থিতির শিকার বানিয়ে ভুল পথে পরিচালনা করে। একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রীও এই ফাঁদ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।