‘ছাভা’ সিনেমার সম্ভাজীর ‘ধাত্রী মা’ এই সুপারস্টারের স্ত্রী! রইল তার আসল পরিচয়

ভিকি কৌশলের ছাভা সিনেমাটি বর্তমানে বলিউডের সবথেকে চর্চিত সিনেমা। এখানে মহারাজ শিবাজীর ছেলে সম্ভাজীর জীবন দেখানো হয়েছে। বড় বড় তারকারা রয়েছেন এই সিনেমাতে। রয়েছেন বেশ কিছু অচেনা মুখও। যাদের প্রথমবারের মতো সিনেমায় দেখলেও অভিভূত হয়েছেন দর্শকরা। তেমনি এক অভিনেত্রী হলে নীলকান্তি পাটেকর। যিনি এই সিনেমাতে সম্ভাজীর ধাত্রী মা ধারাউয়ের ভূমিকাতে অভিনয় করেছেন। ইনি আবার বলিউডের এক বিখ্যাত অভিনেতার স্ত্রী।

কে এই নীলকান্তি পাটেকর?

নীলকান্তি মুম্বাইয়ের একজন প্রখ্যাত থিয়েটার শিল্পী। প্রথম জীবনে ব্যাঙ্কার হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে অভিনয়ের প্রতি টান তাকে এই লাইনে নিয়ে আসে। এই অভিনয়ের সুবাদেই তার আলাপ হয় নানা পাটেকরের সঙ্গে। ‌ হ্যাঁ, নীলকান্তি পাটেকার বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের স্ত্রী। যদিও তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকেন না। বহু বছর ধরেই তারা আলাদা থাকছেন। যদিও তাদের ডিভোর্স হয়নি।

Neelakanti Patekar

নীলকান্তি প্রধানত মারাঠি সিনেমাতেই অভিনয় করেছেন। তবে গত ৯ বছর তাকে আর সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। নয় বছর পর ‘ছাভা’ সিনেমার হাত ধরে তিনি আবার অভিনয়ে ফিরলেন। তার এই চরিত্রটি দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে। এই সিনেমাতে তিনি এবং ভিকি কৌশল মিলে মা এবং ছেলের সুন্দর একটি সম্পর্ক উপস্থাপন করেছেন ক্যামেরার সামনে। যদিও সম্ভাজীর সঙ্গে ধারাউয়ের রক্তের সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু তাদের মধ্যে ছিল দুধের সম্পর্ক।

আরও পড়ুন : সব সিনেমাই ব্লকবাস্টার! ‘ছাভা’ পরিচালকের এই সিনেমাগুলো না দেখলে চরম মিস

Neelakanti Patekar

আরও পড়ুন : ‘ছাবা’র অভিনেতারা কে কত টাকা পেলেন? কার পারিশ্রমিক সবথেকে বেশি?

সম্ভাজীর ধাত্রী মা ধারাউ মা

আজও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন গল্প, উপাখ্যানে, ইতিহাসে ধারাউ নামটি শোনা যায়। আসলে সম্ভাজীর প্রাণ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা ছিল ধারাউয়ের। তিনি ছোট্ট শম্ভুর মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। একটি টাকাও না নিয়ে শুধুমাত্র স্বরাজ্যের স্বপ্ন পূরণ করতে শিবাজী পুত্রকে নিজের স্তনদুগ্ধ পান করাতেন ধারাউ। আর সম্ভাজীও তাকে মায়ের সম্মান দিতেন। তার দুই সন্তান অন্তজী এবং রায়জীও সম্ভাজীর অনুগত ছিলেন। সম্ভাজীর শেষ যুদ্ধের সময় অন্তজী এবং রায়জী যুদ্ধ করতে করতেই শহীদ হন। ধারাউ মায়ের এই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মহারাষ্ট্র সরকার মিশন ধারাউ মাতা দুগ্ধমতম নামের একটি প্রকল্প শুরু করে শিশুদের শারীরিক বিকাশে মায়ের বুকের দুধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে।