এক লহমায় বিধ্বস্ত জীবন! কেন হঠাৎ অভিনয় ছেড়ে দিলেন সুভদ্রা মুখার্জী?

বাংলা সিরিয়ালের বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখার্জী। বেশিরভাগ ধারাবাহিকে মা, কাকিমা কিংবা শাশুড়ির ভূমিকাতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাকে। অভিনয় গুনে সুভদ্রা দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন বারবার। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে আর কোনও সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে না তাকে। বাংলা সিরিয়ালের এত দাপুটে একজন অভিনেত্রী হঠাৎ কেন ক্যামেরার আড়ালে চলে গেলেন? এখন কোথায় আছেন তিনি? আজ জানাবো এই প্রতিবেদনে।

কোথায় হারিয়ে গেলেন সুভদ্রা মুখার্জী?

সুভদ্রা মুখার্জীকে শেষবার জি বাংলার আলোর কোলে সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখেছিলেন দর্শকরা। জি বাংলা, কালার্স বাংলা, স্টার জলসা মিলিয়ে মিশিয়ে চুটিয়ে কাজ করেন তিনি। বাস্তব জীবনে খুব প্রাণখোলা স্বভাবের মানুষ। হাসি-মজায় জীবন কাটাতে পছন্দ করেন। মাতিয়ে রাখেন পরিবেশ। কিন্তু গত বছরই তার সঙ্গে ঘটে গিয়েছে একটি দুর্ঘটনা। গত বছর পুজোতে মাত্র ৬০ বছর বয়সে ঘুমের ঘোরে তার স্বামী ফিরোজের মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী।

Subhadra Mukherjee

এখন কেমন আছেন সুভদ্রা?

স্বামীর মৃত্যুতে সুভদ্রা মনে মনে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন। তার সেই আগের প্রাণ্মোচ্ছল স্বভাব এখন আর নেই। এখন আগের থেকে অনেক বেশি শান্ত স্বভাবের হয়ে গিয়েছেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর এখন ছেলে এবং সংসার সামলাতেই তার সময় কেটে যাচ্ছে।। এখনও কাজের দুনিয়াতে ফেরার সুযোগ তিনি পাননি। আর সেই কারণেই আপাতত কোনও সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে না সুভদ্রাকে। জীবনে এত বড় একটা আঘাত সামলে সুভদ্রা আবার কাজের জগতে ফিরুন, এমনটাই চাইছেন দর্শকরা।

আরও পড়ুন : ৫ বছর ইন্ডাস্ট্রিরই এক ‘দাদা’র সঙ্গে প্রেম! আদৃতের বউ কৌশাম্বী চক্রবর্তীর প্রথম প্রেমিক কে ছিলেন?

Subhadra Mukherjee

আরও পড়ুন : কাঞ্চনকে ব্ল্যাকমেইল করে, ভুরি ভুরি মিথ্যে বলে ঠকিয়েছেন! বিস্ফোরক শ্রীময়ী চট্টরাজ

সুভদ্রা মুখার্জীর সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। গত বছরই মার্চ মাসে একই দিনে তার শ্বশুরমশাই এবং বাবা মারা যান। আবার গত বছরই তিনি তার সবথেকে কাছের মানুষ স্বামীকে হারান। তার স্বামী আমেদাবাদের ব্যবসায়ী ছিলেন। কর্মসূত্র তাকে মুম্বাইতে থাকতে হতো। সুযোগ পেলেই তিনি কলকাতায় আসতেন স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। আর ছেলেমেয়ে সংসার একাই সামলাতেন সুভদ্রা। সুভদ্রা একসময় বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু তারপর দল ত্যাগ করেন। তার স্বামী ফিরোজের মৃত্যু হলে অন্তেষ্টিক্রিয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।