৯০ এর দশকে সালমান খানের নামের সঙ্গে জড়িয়েছে বহু বিতর্ক। ভাইজানের মেজাজকে সকলেই ভয় করেন। ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক-প্রযোজকরা সব নাকি তার কথায় ওঠেন-বসেন। একবার বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাইকে যেভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়েছিলেন সালমান, সে কথা আজও ভুলতে পারেননি কেউ। সিনেমার নায়কের সঙ্গে পরিচালকের সেই ‘ফাইট’ আজও বলিউডের চর্চার বিষয়। কিন্তু কেন এমনটা ঘটেছিল?
সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে সালমান খানের ঝামেলা
সালমান খান ততদিনে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। আর সুভাষ ঘাইও একটার পর একটা সিনেমায় পরিচালনায় তার দক্ষতা প্রকাশ করছিলেন। একবার সালমান খান এবং সুভাষ বলিউডের একটি পার্টিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই পার্টিতে দুজনের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা লেগেছিল কোনও এক কারণ নিয়ে। বেজায় মাথা গরম করে ফেলেছিলেন সালমান। আর থাকতে না পেরে সুভাষকে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছিলেন তিনি।
কেন সুভাষ ঘাইকে চড় মেরেছিলেন সালমান খান
সালমান বলেন সুভাষই নাকি তাকে প্রথম আঘাত করেছিলেন। তিনি চামচ দিয়ে মেরেছিলেন ভাইজানকে। এমনকি তার মুখের সামনে প্লেট ভেঙে দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়। সালমানের মেজাজ খারাপ হয় যখন সুভাষ ঘাই তার জুতোয় প্রস্রাব করে দেন। এমনকি তার ঘাড় ধরেও টানছিলেন। তাই আর থাকতে না পেরে সালমান তাকে চড় মেরে দেন।
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘মার্ডার ৩’ নায়িকা? কেন তিনি ছেড়ে দিলেন অভিনয়?
আরও পড়ুন : ঐশ্বর্যের জন্য ঠকিয়েছিলেন প্রেমিকাকে! এই অভিনেত্রীকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেন অভিষেক বচ্চন
এরপর কী হয়েছিল?
যদিও এই ঘটনার পর দুজনেই দুজনের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। বয়সে বড় পরিচালকের গায়ে হাত তুলে অনুশোচনায় ভুগছিলেন সালমান। তার উপর বাবা সেলিম খান তাকে পরিচালকের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। সেই নির্দেশ মেনে পরের দিনই সালমান সুভাষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। সুভাষের কথায়, “আমাকে চড় মারার পরের দিন অপরাধ করে ফেলা শিশুর মতো আমার কাছে আসে সলমন। কাঁচুমাচু মুখ করে বলে, ‘এসেছি কারণ বাবা চায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিই।’ আমি জিজ্ঞাসা করি, ‘বাবা চায় বুঝলাম, তুমি চাও না’? ও তক্ষুণি বলে ওঠে, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আমিও চাই।’’ এভাবেই দুই তারকার মনোমালিন্য কেটে যায়। এরপর আর কখনও তাদের ঝামেলা হয়নি।