সত্যজিতের প্রেমে পাগল ছিলেন! আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই টলিউড অভিনেত্রী

সত্যজিৎ রায় এবং মাধবী মুখার্জীর প্রেম কার্যত টলিউডের ওপেন সিক্রেট। একে অপরকে ভালোবেসে ছিলেন এই দুই তারকা। কাজ করতে করতেই তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু বিবাহিত ছিলেন সত্যজিৎ। সত্যজিতের সঙ্গে সংসার করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি মাধবীর। নিজেকে সরিয়ে এনেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু তারপরেও অনুশোচনা আর অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মাধবী মুখার্জী। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের সেই অজানা গল্প তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।

এক সন্তানের বাবা, বিবাহিত সত্যজিতকে ভালোবেসে মাধবী আত্মগ্লানিতে ভুগতেন। সত্যজিতের চারুলতা, মহানগর এবং কাপুরুষ সিনেমাতে দুর্দান্ত অভিনয় করেন মাধবী। যখন তাদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হয় তখন সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া রায় আর স্বামীর ছবিতে মাধবীকে নিতে দেননি। মাধবী শুধু নিরবেই ভালোবেসে ছিলেন সত্যজিৎকে। তিনি কখনও কারও সংসার ভাঙতে চাননি। আর এই আত্মগ্লানি থেকেই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

Satyajit Ray And Madhabi Mukherjee

মাধবী তার সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, “একজন মহিলা হয়ে আর এক মহিলার ক্ষতি কী করে করব? এক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করি। ৬০টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। আমায় মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানো হয়েছিল। হাসপাতালে চার দিন অচৈতন্য ছিলাম।” সেই সময় এই ঘটনায় থানা পুলিশও হয়েছিল। কিন্তু তখনকার দিনে এখনকার মত এত সোশ্যাল মিডিয়ার দাপাদাপি ছিল না বলে বিষয়টা অনেকেই জানেন না। সত্যজিৎ রায় যে তাকে ভালবাসতেন, এটাকে মাধবী নিজেরই অপরাধ মনে করতেন। তাই বিবেকের ডাকে তিনি সত্যজিতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। বিয়ে করে সংসারী হন।

আরও পড়ুন : প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর দ্বিতীয় স্ত্রী কে? কেন ভেঙেছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে?

Madhabi Mukherjee

আরও পড়ুন : দুটো বিয়ে বাবার! কী হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের সৎ মায়ের?

মাধবী বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা নির্মল কুমারকে। সত্যজিৎ রায় এবং বিজয়াও পৌঁছেছিলেন তাদের সেই বিয়েতে। তবে বিয়ের পর মাধবীর সংসারটা খুব একটা সুখের হয়নি। ২৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর তারা আলাদা হয়ে যান। অবশ্য ডিভোর্স নেননি নির্মল এবং মাধবী। দুই মেয়ে মিমি এবং নীলাঞ্জনা বড় হওয়ার পরই তারা স্বেচ্ছায় আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। মাধবী মনে করেন মনের মিল না থাকলে আলাদা থাকাই ভালো।