অস্মিকার চিকিৎসার যোগাড়ে এখনো কত টাকা বাকি? মোট কত টাকা উঠলো?

স্পাইনাল মাসকুলার এট্রপি টাইপ ওয়ান, মারাত্মক এই রোগে আক্রান্ত এক বছরের অস্মিকা দাস। বিগত কয়েকদিনে ছোট্ট মেয়ে অস্মিকার কথা যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়েছে তাতে গোটা বাংলার মানুষ এখন তার ব্যাপারে জানেন। শুধু বাংলা নয় বাংলার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে অস্মিকাকে বাঁচানোর জন্য বাবা-মায়ের করুণ আর্তি। ১৬ কোটি টাকার একটি ইনজেকশন ফিরিয়ে দিতে পারে অস্মিকার জীবন। ক্রাউড ফান্ডিংয়ে এখনো কত টাকা উঠলো? এখনো কত টাকা বাকি?

অস্মিকার বাবা-মা মেয়েকে বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে টাকা চেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাতে সারা দিয়ে বহু মানুষ তাদের সামর্থ্য মতো সাহায্য করেছেন ছোট্ট মেয়েটিকে। বিগত কয়েক মাসে অস্মিকার জন্য মোট ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা উঠেছে। যা মোট চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ অস্মিকাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। সাধারণের পাশাপাশি তারকারাও এগিয়ে এসেছেন অস্মিকার জন্য। কৈলাস খের, শুভমিতা ব্যানার্জী, রুপম ইসলামরা নিজেরা সাহায্য করার পাশাপাশি অস্মিকার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু যতটা টাকা প্রয়োজন তার অর্ধেকও এখনও ওঠেনি। অথচ হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাসই কেবল বাকি।

Asmika Das

অস্মিকার বয়স এখন এক বছর। আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে ওই ইঞ্জেকশনটি দিতেই হবে। নয়তো অস্মিকা আর কোনদিনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। এই দুরারোগ্য স্নায়বিক রোগ চিরতরে তার চলাফেরা, ওঠা-বসার ক্ষমতা কেড়ে নেবে। তাই আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষের কাছে সাহায্য চাইলেন অস্মিকার বাবা ও মা। সম্প্রতি অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী পৌঁছে গিয়েছিলেন অস্মিকার কাছে। তার সঙ্গে কথা বলার সময়ই টাকার পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেছেন অস্মিকার বাবা।

আরও পড়ুন : একেই বলে সোনা বাঁধানো কপাল! খাদানের পর এবার আরও বড় ছবিতে ‘কিশোরী’ ইধিকা

Asmika Das

আরও পড়ুন : কোন রোগ বাসা বেঁধেছে অস্মিকার শরীরে? তার চিকিৎসার ইনজেকশন কেন এত দামী?

এদিকে আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কিছু ভুল ধারণাও রটেছে। বিশেষ করে অরিজিৎ সিংকে নিয়ে। অস্মিকার বাবা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে যে রটানো হয়েছে অরিজিৎ সিং, অস্মিকার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন, তিনি প্রচুর টাকা দিয়েছেন ছোট্ট মেয়েটির চিকিৎসার জন্য, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অরিজিতের তরফ থেকে এখনো কোনও সাহায্য কিংবা সাহায্যের আশ্বাস এসে পৌঁছয়নি তাদের কাছে। কিন্তু এই রটনার কারণে মানুষের কাছে ভুল ধারণা পৌঁছেছে। অনেকেই সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে অস্মিকার আরও বেশি সাহায্যের প্রয়োজন। কারণ সময় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। টাকার অংকের এখনও অর্ধেকও জোগাড় করা যায়নি। তাই সাধারণ থেকে তারকা নির্বিশেষে সকলকে আরো একবার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন অস্মিকার অসহায় বাবা-মা।