একদিকে দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনা, অন্যদিকে রাজনীতি, সেই সঙ্গে শাড়ির ব্যবসাও সমান তালে সামাল দিচ্ছেন রচনা ব্যানার্জী। সদ্য রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটেছে তার। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্য শাসক দলের সাংসদ হয়ে হুগলিতে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে আবার চুঁচুড়া উৎসবে নিজের শাড়ি এবং প্রসাধনীর স্টল দেন রচনা। সেখানে আবার শাড়ি বিক্রির উপর বাম্পার অফারও দিচ্ছেন তিনি।
রচনার রচনা ক্রিয়েশন এবং রচনা কেয়ার নামের দুটো ব্র্যান্ড রয়েছে। প্রথমটি শাড়ির এবং দ্বিতীয়টি প্রসাধনের। এই দুটো সামগ্রীরই তিনি স্টল দিয়েছেন এবারের চুঁচুড়া উৎসবে। রচনা ব্যানার্জীর থেকে শাড়ি এবং রূপচর্চার জিনিসপত্র কেনা শুধু নয়, একেবারে আকর্ষণীয় ছাড়ে শপিং করতে পারবেন এই দুটো স্টল থেকে। বিনামূল্যে শাড়িও পাবেন। রচনা দোকান থেকে কেনাকাটা করলেই ১০% ছাড় পাবেন প্রতিটা জিনিসের উপর। এছাড়া যদি কেউ বেশি টাকার কেনাকাটা করেন তাহলে তার উপর থাকবে আকর্ষণীয় ছাড়।
লকডাউনের সময় অনলাইনে শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন রচনা ব্যানার্জী। ফেসবুককে হাতিয়ার করেছিলেন মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। বেশ ভালই সাড়া পেয়েছিলেন সেখান থেকে। এরপর নিজস্ব বুটিক খুলে ফেলেন রচনা। আগামী দিনের স্থায়ী দোকানের পরিকল্পনাও রয়েছে তার মাথায়। নিজের ব্যবসা আরও বড় করে বাড়াতে চান রচনা। চুঁচুড়া উৎসবের উদ্বোধনের দিন বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন টলিউডের আরেক অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও।
আরও পড়ুন : দিদি নাম্বার ওয়ানে নিজের জীবন সংগ্রামের গল্প শোনালেন রচনা, দর্শকদের চোখ ভিজে গেল জলে
আরও পড়ুন : তৃণমূলের প্রার্থী হল মা, ‘খুশি’ নয় ছেলে! কী বলছে রচনার ছেলে প্রণীল?
বরাবরই মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার বার্তা দেন রচনা। এই প্রসঙ্গে চুঁচুড়া উৎসবেও তিনি বলেছেন, “আমি বরাবর বলি, মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়াক। রোজগার করুক। শিক্ষিত হোক। সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, কারও কাছে হাত পাতবেন না। একটা মেয়ে মানে দশটা ছেলের সমান। আমরা ‘দিদি নং ওয়ানে’র মঞ্চেও এই বার্তাই দিয়ে থাকি। কল্যাণদাও তাই দিলেন। এই বার্তা যেন সকলের কাছে পৌঁছয় এবং মানুষ অনুপ্রাণিত হন।”