তারিখ পাকা হয়েও ভেঙে যায় বিয়ে! মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেম করলেও কেন বিয়ে করতে চাননি মিঠুন চক্রবর্তী? মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল দুই পরিবারই। কিন্তু হঠাৎ পিছিয়ে আসেন মিঠুন। বরং মমতাকে ছেড়ে বলিউড নায়িকাকে বিয়ে করেন মিঠুন। মমতা শঙ্কর এবং মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের এই গল্পটা আপনি জানতেন কি?
তখন তার সামনে বলিউডের হাতছানি। আর সেইসঙ্গে নিত্যনতুন নায়িকাদের আসা-যাওয়াও লেগে ছিল মিঠুনের জীবনে। মমতা শঙ্কর জানিয়েছেন মিঠুন সেই সময় তার থেকে ২ বছরের সময় চেয়ে নেন। বলিউডে তখন তার কেরিয়ার সবে উঠছে। তখনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে চাননি তিনি। কিন্তু মমতা ভরসা করতে পারেননি। ওই সময় মিঠুনের সঙ্গে একাধিক বলিউড নায়িকার নাম জড়িয়েছিল। বিয়ে ভাঙতেই মমতাও ফিরে যান তার প্রাক্তন চন্দ্রোদয় ঘোষের কাছে।
আসলে মিঠুনের আগে চন্দ্রোদয়ের প্রেমে পড়েছিলেন মমতা শঙ্কর। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘মৃগয়া’ সিনেমাতে অভিনয় করার পর প্রাক্তন প্রেমিককে ছেড়ে আবারও নতুন প্রেমে পড়ে যান মমতা। কিন্তু মিঠুন তাকে বিয়ে করতে পিছিয়ে আসেন। সেই সময় চন্দ্রোদয় নিজে থেকেই যোগাযোগ করেছিলেন মমতার সঙ্গে। দিয়েছিলেন বিয়ের প্রস্তাব। এবারে আর চন্দ্রোদয়কে ফেরাতে পারেননি মমতা। ১৯৮০ সালে তাদের বিয়েটা হয়।
আরও পড়ুন : দ্য গ্রেট খালির স্ত্রীকে চেনেন? দেখুন খালির সুন্দরী স্ত্রীকে কেমন দেখতে
আরও পড়ুন : বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রিঙ্কু সিং! তার হবু বউ কত সুন্দরী দেখুন
ওদিকে আবার ওই বছরই বলিউড অভিনেত্রী হেলেনাকে বিয়ে করেন মিঠুন। যদিও তার সেই বিয়েটা টেকেনি। পরে আবার যোগিতা বালিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এরপরেও মিঠুনের নাম জড়াতে থাকে একাধিক নায়িকার সঙ্গে। তবে মমতা এবং চন্দ্রোদয় ছিলেন পারফেক্ট জুটি। সারা জীবন মমতাকে আগলে রেখেছেন তার স্বামী। মমতার নজরে তিনিই আদর্শ স্বামী। প্রত্যেক জন্মেই তিনি চন্দ্রোদয়কেই স্বামী হিসেবে পেতে চান। তিনি কখনও মমতার নাচে, গানে কিংবা অভিনয়ে বাধা দেননি। বরং সব সময় তার পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন। বিয়ের পর ৪৪ বছর একসঙ্গে সংসার করে ফেলেছেন দুজনে। তবে মিঠুনের সঙ্গে মমতার বন্ধুত্বের সম্পর্ক আজও অটুট রয়েছে।