বিয়ের মেনুতে কী কী ছিল? অতিথিদের কী কী খাওয়ালেন শ্বেতা-রুবেল?

অবশেষে ১৯শে জানুয়ারি ধুমধাম করে বিয়েটা সেরে নিলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় রুবেল দাস এবং শ্বেতা ভট্টাচার্য। তাদের বিয়ে উপলক্ষে নানা ছবি এবং ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। সাধারণ বাঙালি বিয়ে নয়, বৈদিক মতেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দুজনে। প্রথম থেকেই তাদের এই বিয়েতে ছিল নানা চমক। বিয়ের মেনু কার্ডও কম যায় না। ‌বিয়ের দিন অতিথিদের কী কী খাবার খাওয়ালেন শ্বেতা এবং রুবেল? দেখে নিন এক নজরে।

স্টার্টার থেকে মেন কোর্স, অতিথিদের জন্য খাবার-দাবারে এলাহী আয়োজন রেখেছিলেন তারা। ভেজ এবং ননভেজের বিভিন্ন আইটেম ছিল স্টার্টারে। স্যালার্ড থেকে মাছ-মাংসের বিভিন্ন পদ রাখা হয়েছিল। মেন কোর্সের মধ্যে ছিল কুলচা, চানা, ফিস ফ্রাই, পোলাও, সাদা ভাত, পাঁঠার মাংস, মুরগির মাংস। মিষ্টির মধ্যে ছিল কালাকাঁদ, নতুন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা এবং আরও অনেক ধরনের মিষ্টি।

Sweta Rubel Marriage

মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিকের পৌরহিত্যে বৈদিক নিয়মে বিয়েটা হয়েছে তাদের। মেহেন্দি গায়ে হলুদ থেকে বিয়ে পর্যন্ত নেচে-গেয়ে বেশ মজা করেই অনুষ্ঠানের দিনগুলো পার করলেন তারা। ‘চোখ তুলে দেখনা’ গানে নেচে বিয়ের মঞ্চে প্রবেশ করেন রুবেল। ‘সাইয়া সুপারস্টার’ গানের নিচে মঞ্চে আসেন শ্বেতা‌। বিয়েতে যেরকম চমক ছিল, একই রকম চমক থাকবে রিসেপশনেও। তাদের রিসেপশনের আসর বসবে যশোর রোডের উপর বিটি কলেজের কাছে সৃষ্টি গার্ডেনে। এই হল বেশ বড়‌ ও বিলাসবহুল। রিসেপশনের দিনেও ভাড়া এবং খাওয়া-দাওয়া সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার খরচ রয়েছে হিসেবের খাতায়।

আরও পড়ুন : মালাবদল থেকে সিঁদুর দান! দেখুন রুবেল ও শ্বেতার বিয়ের ফটোগ্যালারী

Sweta Rubel Marriage

আরও পড়ুন : মিস জোজোর স্বামী কে? কেন স্বামীকে ছেড়ে আলাদা থাকেন তিনি?

বর্তমানে কোন গোপনে মন ভেসেছে সিরিয়ালে অভিনয় করছেন শ্বেতা। আর রুবেল অভিনয় করছেন নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে। দুজনেই মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন। তাই বিয়ের জন্য সময় বের করাটা খুবই চাপ হয়ে গিয়েছিল দুজনের জন্যই। শ্বেতার কথায় বিয়ের জন্য কোনওরকমে পাঁচ দিনের ছুটি ম্যানেজ করতে পেরেছেন তারা। বিয়ের পর হানিমুনেও যেতে পারবেন না এখন। হানিমুনের প্রশ্ন উঠতেই সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “ওরে বাবা! ছুটিই পাব না। বিয়েতেই ছুটি দেবে না বলছিল, তিন দিন ছুটি দিয়েছিল। বিয়ের দিন, পরের দিন, আর বৌভাতের দিন। পরে আমি হাতে পায়ে ধরে ৫ দিন ছুটি নিয়েছি। বলেই দিয়েছে, এই ছুটি, আর কোনও ঘুরতে যাওয়া নয়। রুবেলের তো আরও চাপ, ওর তো সাত দিনের শো।”