নামমাত্র পোশাকে ঝড় তুলতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়! মহকুম্ভের এই ভাইরাল সন্ন্যাসিনী আসলে কে?

অভিনয় ছেড়ে সন্ন্যাসিনী! গ্ল্যামার এবং বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে তিনি বেছে নিয়েছেন সাধারণ এক সাধ্বীর জীবন। এবছরের মহা কুম্ভের অন্যতম বড় আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই সুন্দরী সন্ন্যাসিনী। যার রূপে মুগ্ধ গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। তাকে এই পথে আসতে দেখে কেউ সাধুবাদ দিচ্ছেন, কেউ বলছেন সবটাই নাকি লোক দেখানো! কে এই সুন্দরী সাধ্বী? কেনই বা তিনি বিলাসিতা ছেড়ে বেছে নিলেন আধ্যাত্মিকতার পথ?

গত ১৩ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ভারতবর্ষের অন্যতম বড় উৎসব মহাকুম্ভ স্নান। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষের আগমন ঘটছে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে। রয়েছেন বেশ কিছু সেলিব্রেটিও। তাদের মধ্যেই একজন হলেন সাধ্বী হর্ষা রিচারিয়া (Harsha Richharya)। তাকে দেখে একজন ইউটিউবার প্রশ্ন করেছিলেন তিনি এত সুন্দরী হয়েও কেন সাধ্বী হলেন? এর যে উত্তর হর্ষা দিয়েছেন, সেটা রীতিমত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Harsha Richharya

হর্ষ বলেন, “আমি এসেছি উত্তরাখণ্ড থেকে। আমি আচার্য মহামন্ডলেশ্বরের শিষ্যা। কেরিয়ারে সফল হলেও শান্তির অভাব ছিল আমার জীবনে। শান্তির খোঁজেই আমি আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছি।” এরপরই হর্ষাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহল উত্তরোত্তর বাড়তে শুরু বাড়ছে।

হর্ষর বয়স এখন মাত্র ৩০ বছর। ২ বছর আগে মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নেন। জানলে অবাক হবেন, হর্ষ আগে অভিনেত্রী ছিলেন। অ্যাঙ্কারিংও করতেন। তখন তার পরিচয় ছিল অ্যাঙ্কর হর্ষা। দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসতেন তিনি। সমাজ মাধ্যমে নিয়মিত ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করতে করতে তিনি হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষ ফলোয়ার্স রয়েছে তার। তারপর হঠাৎ একদিন সব ছেড়ে সন্ন্যাসিনীর জীবন বেছে নেন তিনি। দীক্ষা নেন আচার্য মহামন্ডলেশ্বরের কাছে। অ্যাঙ্কর হর্ষা থেকে তার নতুন পরিচয় হয় সাধ্বী হর্ষা। গত ২ বছর ধরে তিনি এই পরিচয়েই পরিচিত হচ্ছেন। তার নতুন পরিচয় হয়েছে ‘সমাজকর্মী এবং হিন্দু সনাতনী সিংহী’।

আরও পড়ুন : বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ভাঙলো সংসার! ডিভোর্সের পথে ধনশ্রী এবং যুজবেন্দ্র চাহাল

Harsha Richharya

আরও পড়ুন : ‘তারা রাম পামে’র সেই ছোট্ট মেয়েটা আজ কোথায়? দেখুন এখন কেমন দেখতে হয়েছে তাকে

তবে সঞ্চালনা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও আগের মতই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন হর্ষা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি যে ছবি শেয়ার করেন তা দেখে স্পষ্ট মনে হয় তিনি ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত। যদিও তার এসব ছবি দেখে অনেকেই বলেন প্রচারের আলোয় থাকতে ও খ্যাতি পাওয়ার জন্য তিনি এসব করছেন। অনেকে তার পুরনো ভিডিও তুলে এনেও তার সমালোচনা করছেন। যদিও এসব সমালোচনা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না হর্ষা। তার কথায়, ‘‘অভিনয়, অ্যাঙ্কারিং থেকে বিশ্ব ভ্রমণ— যখন আপনি জীবনে অনেক কিছু পেয়ে যাবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে এর মধ্যে কোনওটাই সত্যিকারের শান্তি আনে না। যখন ভক্তি আকর্ষণ করতে শুরু করে তখন জাগতিক সংযোগ থেকে দূরে সরে যেতে ইচ্ছে করে। নিজেকে প্রার্থনা, স্তোত্র এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিতে সমর্পণ করতে ইচ্ছা করে।’’