বাঙালি রক্ত বইছে হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan) শরীরে! শুধু তাই নয়, বাঙালিদের মতই হৃত্বিকেরও পছন্দের খাবার মাছ ও ভাত। জানেন কি কিভাবে বাংলার সঙ্গে এত গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠলো বলিউডের গ্রিক গডের? তার পরিবারের কোন সদস্য বাঙালি? ৯৯ শতাংশ মানুষ জানেন না রোশন পরিবারের এই রহস্য।
হৃত্বিক রোশনের জন্ম হয় ১৯৭৪ সালে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত রোশন পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তার বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিবেশ ছিল। তার বাবা রাকেশ রোশন ছিলেন বলিউড অভিনেতা। ঠাকুরদা রোশন লাল নাগরথ ছিলেন মিউজিক ডিরেক্টর। আর হৃত্বিকের ঠাকুরমা ইরা নাগরথ অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাইতেন।
আরও পড়ুন : যৌনকর্মী থেকে অভিনেত্রী, নটি বিনোদিনীর করুণ জীবন কাহিনী
আরও পড়ুন : অরিজিৎ সিংয়ের প্রথম স্ত্রী কে? কাকে ডিভোর্স দিয়ে কোয়েলকে বিয়ে করেছেন অরিজিৎ?
আসলে হৃত্বিক রোশনের ঠাকুমা ইরা নাগরথ ছিলেন বাঙালি। বিয়ের আগে তার পদবী ছিল মৈত্র। গানের প্রতি ভালোবাসার টানে তিনি মুম্বাইতে চলে আসেন এবং এখানে এসে মিউজিক ডিরেক্টর রোশন লাল নাগরথের প্রেমে পড়েন। বিয়েও করেন তারা। তিনি ছিলেন রোশনলালের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের দুই সন্তান রাকেশ রোশন এবং রাজেশ রোশন।
সেই রাকেশ রোশনেরই ছেলে হৃত্বিক। ঠাকুমার সূত্রেই বাঙালি রক্তের সঙ্গে হৃত্বিকের যোগাযোগ রয়েছে। ঠাকুমার হাতের মাছের ঝোল হৃত্বিকের খুব প্রিয় ছিল। বাঙালি ছেলের মতই তিনি তার ঠাকুমাকে ঠামি বলে ডাকতেন। আর ইরা নাতিকে ডাকতেন ডুগ্গু নামে। ২০০৫ সালে হৃত্বিকের ঠামি ইরা নাগরথের মৃত্যু হয়।