বোনে-বোনে বনিবনা নেই! কেন রানী মুখার্জিকে সহ্য করতে পারতেন না কাজল?

বোনে-বোনে বনিবনা ছিল না অনেকদিন। জানেন কেন রানী মুখার্জিকে (Rani Mukerji) সহ্য করতে পারতেন না দিদি কাজল (Kajol)? একই পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও তাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। এমনকি ‘কুছ কুছ হোতা হে’ থেকে রানীকে বাদ দিতে মরিয়া ছিলেন কাজল। সিনেমার সেটেও তারা কথা বলতেন না। অবশেষে ফাঁস হল আসল কারণ।

সালটা ছিল ১৯৯৮। করণ জোহার সেই বছর ‘কুছ কুছ হোতা হে’ সিনেমা বানাচ্ছিলেন। শাহরুখ খান ও সালমান খানের সঙ্গে এই সিনেমাতে রানী এবং কাজলও ছিলেন। ত্রিকোণ প্রেমের এই কাহিনী কতটা হিট হয়েছিল তা আর বলে দিতে হয় না। বলিউডে এটাই ছিল রানীর প্রথম সিনেমা। সিনেমার সেটে যখন সবাই হাসি ঠাট্টা করতেন রানী এবং কাজলকে কিন্তু একে অপরকে এড়িয়েই চলতেন। খোদ পরিচালকের নজরে পড়েছিল এই ব্যাপারটা।

Kajol And Rani

‘কফি উইথ করণে’র অষ্টম সিজনের একটি এপিসোডে কাজল এবং রানী দুজনেই অতিথি হয়ে এসেছিলেন। তখন করণ তাদের এই প্রশ্নটাই করেন। সকলের মত তিনিও জানতেন রানী ও কাজল একই পরিবারের সন্তান। তবুও তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন না। এর উত্তর দিয়েছিলেন কাজল।

কাজল অবশ্য বলেন রানীর সঙ্গে তার কোনওদিনই তেমন দূরত্ব ছিল না। আসলে যখন তারা অভিনয়ে এসেছিলেন তখন অনেক বেশি লড়াই করতে হত ইন্ডাস্ট্রিতে। আপন আপন অভিনয় নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকতেন। তবে ছোটবেলা থেকেই কাজলের সঙ্গে রানীর ভাব কম ছিল। কাজলের বোন তানিশার সঙ্গে বরং বেশি বন্ধুত্ব ছিল কাজলের। কাজলের সঙ্গে রানীর বন্ধুত্ব ছিলনা কোনদিনই।

Kajol And Rani

আসলে রানীর বাবা সমু মুখার্জি এবং কাজলের বাবা রাম মুখার্জির মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল প্রবল। সেই পরিস্থিতিতে কাজল কোনদিনই চাননি রানী তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ান বলিউডে। রানীর অভিনয়ে আসাটাও তার পছন্দ ছিল না। শোনা যায় এক সময় নাকি আদিত্য চোপড়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে রানীকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও জোরাজুরি করেছিলেন কাজল। তবুও শেষমেশ একসঙ্গে অভিনয়টা করেছিলেন দুই বোন। সেই সিনেমা হয়েছিল সুপারহিট। কিন্তু এরপর আর কখনও তাদের এক সঙ্গে পর্দায় দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন : হাঁটুর বয়সী পুরুষের সঙ্গে প্রেম! বলিউডের এই নায়িকারা বয়সে ছোট পুরুষের প্রেমে পড়েছেন

Kajol And Rani

আরও পড়ুন : কেন ভেঙেছিল শাহরুখ-কাজল জুটি? কেন একসঙ্গে ছবি করা বন্ধ করে দেন তারা?

অন্যদিকে রানীও বলেন, “আমাদের বাবারা মারা যাওয়ার পর আমাদের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমে যায়। প্রিয় মানুষ চলে গেলে পরিবারের বাকি সদস্যরা কাছে টেনে নেন, তেমনটাই হয়েছিল আমাদের সঙ্গে। যখন আমার বাবা মারা যান, কাজল তখন আমাকে ভীষণভাবে আগলে রাখত। এই ভাবেই আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম।” রানীর কথাতেই সহমত পোষণ করেন কাজল। অতএব বোঝাই যায়, অতীতে যতই মনোমালিন্য থাকুক না কেন এখন কিন্তু রানী ও কাজল একে অপরের খুব ভালো বন্ধু।