বারবার ভেঙেছে প্রেম, বিয়ে পর্যন্ত এগিয়েও ভেঙেছে সম্পর্ক। কেন আজীবন অবিবাহিত থেকে গেলেন রতন টাটা (Ratan Tata)? কাকে ভালোবেসে মন ভেঙেছিল তার? ভারতের এত বড় মাপের একজন শিল্পপতি, কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি। অথচ আজীবন একাকিত্বে ভুগলেন রতন টাটা। কেন জানেন?
গত ৯ ই অক্টোবর প্রয়াত হলেন টাটা গ্রুপের কর্ণধার। যার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। রতন টাটার মৃত্যুর খবর কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে ভারতবাসীকে। সফলতা ছিল তার পায়ের তলায়। তা সত্ত্বেও তার মধ্যে ছিল না কোনও অহংকার, সততা এবং দয়া ছিল তার ধর্ম। তিনি এমন একজন মানুষ, যার কোনও শত্রু নেই। কিন্তু রতন টাটা সদা সিঙ্গেল। অবিবাহিত থেকে আজীবন ভুগেছেন একাকিত্বে।
একবার নয়, দুবার নয়, ৪ বার প্রেমে পড়েছিলেন রতন টাটা। তার প্রথম প্রেমিকা ছিলেন একজন বিদেশিনী। আমেরিকাতে থাকার সময় তিনি সেই মেয়ের প্রেমে পড়েন। বিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল দুজনের। ঠিক সেই সময় ঠাকুমা অসুস্থ হয়েছিলেন রতন টাটার। টাটাকে তাই ফিরে আসতে হয়েছিল দেশে। রতন টাটার হবু স্ত্রীও ভারতে আসার তোড়জোড় করছিলেন তখন। কিন্তু সেই সময়ই বাঁধে ভারত-চীন যুদ্ধ। যে যুদ্ধ রতন টাটার জীবন বদলে দেয়।
ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে টাটার হবু স্ত্রীর বাবা-মা কিছুতেই মেয়েকে ভারতে পাঠাতে রাজি হননি। তাই বিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে গেলেও খুবই মর্মান্তিকভাবে সেই সম্পর্ক ভাঙ্গে। তবে টাটা অবশ্য এরপরেও বেশ কয়েকবার প্রেমে পড়েছেন। তার প্রেমিকাদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সিমি গারেওয়াল। বেশ কয়েক বছর চলেছিল তাদের সম্পর্ক। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সিমি ও টাটা বিয়ে করেননি। কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল অটুট।
সিমির একটি টক শোতে একবার হাজির হয়েছিলেন রতন টাটা। সিমি তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি বিয়ে করলেন না? বিয়ে না করার জন্য তার কি একাকীত্ব বোধ হয় না? উত্তরে টাটা বলেছিলেন, “একটা পুরো সিরিজ আমাকে বিয়ে করা থেকে বিরত করেছিল। সেই সময় আমি কাজের মধ্যে ডুবেছিলাম। মাঝে মাঝে বিয়ে করার কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।”
আরও পড়ুন : ঘন্টায় কত টাকা আয় করেন রতন টাটা? টাটার একদিনের রোজগার কত?
আরও পড়ুন : কারও ৪, কারও ৬, বলিউড অভিনেত্রীদের বয়ফ্রেন্ডের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন
রতন টাটা এরপর নিজের জীবনের একাকিত্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “এমন অনেক সময় আসে যখন আমি আমার স্ত্রী বা পরিবার না থাকার কারণে একাকীত্ব বোধ করি। কখনও কখনও মনে হয় এগুলো থাকলে ভাল হত। কিন্তু কখনও অন্যের উদ্বেগ বা অনুভূতি নিয়ে ভাবনা না করার যে স্বাধীনতা তা উপভোগ করি। অনেক সময় একটু নিঃসঙ্গ লাগে।” অকপটে বলেছিলেন টাটা।