কেন্দ্র সরকারি হোক কিংবা রাজ্য সরকারি, নারীদের উন্নয়নের জন্য আলাদা আলাদা খাতে আলাদা আলাদা প্রকল্প কিছু কম নেই। পশ্চিমবঙ্গে যেমন রয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ভারতে তেমন রয়েছে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও। কিন্তু এতে আদতেও মহিলাদের কোনও লাভ হচ্ছে কি? আর জি কর কান্ড প্রসঙ্গে এবার সরাসরি এই প্রশ্ন তুললেন দেব (Dev)। প্রশ্ন তুললেন রাষ্ট্রের অক্ষমতা নিয়ে।
ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব সম্প্রতি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নতুন ডায়ালাইসিস যন্ত্রের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়। দেব সংবাদ মাধ্যমের সামনে আরজিকরের ঘটনাকে নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে রয়েছেন। তিনি মনে করেন ধর্ষণ আটকাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় বৈঠক করা উচিত।
এখানেই শেষ নয়। আরজি কর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেব বলেছেন, ‘‘আরজি করে যা হয়েছে খুবই দুঃখজনক, নিন্দনীয়। তার প্রতিবাদ করাই উচিত। সাধারণ মানুষ সেই আবেগ থেকেই পথে নেমেছেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আর কারও সঙ্গে যেন এমন না হয়। ধর্ষকেরা এই অপরাধ করার আগে যেন ভয় পায়। এটা তো শুধু বাংলা বা অন্য কোনও রাজ্যের বিষয় নয়, এটা সারা দেশের বিষয়। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ বা ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’-এর কোনও মানেই নেই, যদি দেশের মেয়েদের আমরা রক্ষা করতে না পারি।’’
দেবের মতে ধর্ষণ আটকানোর জন্য কেন্দ্র এবং সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সর্বদলীয় বৈঠকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কড়া শাস্তির বিধান দিতে হবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে। সংবিধানে এই মর্মে কঠোর নিয়ম আনতে হবে। আমাদের দেশে নারীদের জন্য এত এত প্রকল্প আছে। কিন্তু নারী সুরক্ষার জন্য কী আছে? এত প্রকল্প থাকতেও নারীদের সুরক্ষিত রাখা যাচ্ছে না। এই অক্ষমতা সমগ্র দেশের বলে মনে করেন তিনি।
দেবের কথায়, ‘‘আমি শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল অশান্তির চেষ্টা করছে। এটা বাংলার সরকার ফেলা বা বাংলার সরকারকে হেনস্থা করার সময় নয়। এটা শুধু বাংলার লজ্জা নয়, ভারতের প্রতি দলের প্রতি রাজ্যের লজ্জা। এই আন্দোলনকে আমরা যেন মনে রেখে দিতে পারি।’’