“মানিয়ে নে মা!”, বিয়ের পর প্রায় প্রত্যেকটা মেয়েকেই বাবা-মায়ের থেকে এই কথাটাই শুনতে হয়। কিন্তু সত্যিই কি সব সময় মানিয়ে নেওয়া উচিত? এবার সমাজকে পাল্টা প্রশ্ন করল একটি বাংলা সিরিয়াল। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) সিরিয়ালের গল্পের নতুন মোড় সম্প্রতি এমন দিকে চলেছে যে তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন মহিলারা। কী দেখানো হল?
ছোটবেলা থেকেই কার্যত আমাদের সমাজের প্রত্যেকটা মেয়েকে মেনে নিতে এবং মানিয়ে নিতে শেখানো হয়। বিশেষ করে শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের মানিয়ে নিতেই হবে। স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যতই অন্যায় করুক না কেন মুখ ফুটে কিছু বলা যাবে না। মায়েরাই বিশেষ করে এমন শিক্ষা দেন মেয়েদের। কিন্তু এমনটা আর কতদিন? সত্যিই কি এভাবে সমস্যার সমাধান হয়?
ধারাবাহিকের বর্তমান কাহিনী অনুসারে ডাক্তারের কাছে অনুমতি নিয়ে অপারেশন করানোর আগে রাই তার মায়ের কাছে থেকে যায় এক রাতের জন্য। কিন্তু তার মনের মধ্যে যে অশান্তি চলছে তা টের পেয়ে যান তার মা। খেতে বসে তিনি রাইকে প্রশ্ন করেন অনির্বাণের সঙ্গে তার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। সবকিছু জেনে শুনেও তিনি রাইকে বলেন মানিয়ে নিতে।
রাইয়ের মা মেয়েকে বোঝান, অনির্বাণের সঙ্গে তাকে মানিয়ে নিয়ে থাকতে হবে। এখন ওটাই তার বাড়ি। ওটাই তার সংসার। অনির্বাণের কোনও সমস্যা হলে রাইকেই মানিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে স্রোত মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার এই ধারণা কতখানি ভুল। কিন্তু রাইয়ের মা কিছু না বুঝে মেয়েকেই সব দোষ দিতে থাকেন। সিরিয়ালের এই দৃশ্যের সঙ্গে বাস্তবের বেশ মিল খুঁজে পাচ্ছেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন : দিতিপ্রিয়া নন, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ রূপা তবে কে? প্রকাশ্যে এল নাম
আরও পড়ুন : “কাঞ্চন ভুল কিছু বলেননি…!”, কাঞ্চনের পক্ষ নিয়ে কড়া জবাব শ্রীময়ীর
দর্শকরা বলছেন, এই সিরিয়ালটিতে যা কিছু দেখানো হচ্ছে সেটাই আমাদের সমাজের বক্তব্য। আজও শ্বশুরবাড়িতে যে কোনও কিছু সমস্যা হলে মেয়েটিকেই দায়ী করা হয়। যেন মানিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব তার শুধু একার। আর এই ধারণার ফলেই বধূ নির্যাতন হয়। বধূ নির্যাতন এখনো সমাজের গুরুতর একটি সমস্যা। যার জন্য পরোক্ষে মেয়ের বাবা-মায়েরাও দায়ী।