Rachna Banerjee : এতদিন রাজনীতির ময়দানে কখনও কোথাও দেখা যায়নি রচনা ব্যানার্জীকে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। ক্যামেরা ছেড়ে রচনা ব্যানার্জী এবার ভোটের ময়দানে নামলেন। আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল শাসক দলের হয়ে হুগলি কেন্দ্র থেকে লড়বেন তিনি। এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত প্রকাশ পাচ্ছে। রচনার একমাত্র ছেলে প্রণীল বসু (Pronil Basu) কী বলছে মায়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে?
সিনেমা, রিয়েলিটি শো সঞ্চালনা, ব্যবসার পর এবার নতুন খাতে বইতে চলেছে রচনার কেরিয়ার। তৃণমূলের এমপি হতে পারবেন কি তিনি? উত্তর দেবে সময়। আপাতত তার রাজনীতিতে পদার্পণ নিয়ে জোর আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। তবে রচনা অবশ্য সে সবে পাত্তা না দিয়ে এখন থেকেই তৃণমূলের হয়ে জোরদার প্রচার চালাতে শুরু করেছেন। তবে এসবে মোটেও খুশি নয় প্রণীল।
মা রাজনীতিতে আসবে শুনেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছে রচনার ১৭ বছর বয়সী ছেলের। কারণ এবার থেকে রচনাকে হুগলিতেই থাকতে হবে। সামনেই প্রণীলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এরপরই সে বাইরে চলে যাবে উচ্চশিক্ষার জন্য। মা ভোটে দাঁড়াচ্ছে শুনে সে দুঃখ দুঃখ মুখ করে রচনাকে প্রশ্ন করে, “মা তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?”
রচনা কিন্তু ছেলেকে বলে দিয়েছেন দূরে থাকলেও তিনি সবসময় ছেলের পাশে থাকবেন। আর তাছাড়া প্রণীলও তো এবার দূরে চলে যাবে। বাইরে পড়তে গেলে আলাদা জগৎ তৈরি হবে তার। এই সময়টাকেই তাই রচনা বেছে নিচ্ছেন তার জীবনে নতুন কিছু করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ হিসেবে। তাই তিনি লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের বাইরে রাজনীতির খোলা মাঠে এসে দাঁড়াচ্ছেন।
হুগলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে রচনা ব্যানার্জীর নাম ঘোষণা হতেই শাসক দলের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন রচনা। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন রাজনীতি তিনি করতেন না এই কথা ঠিক। তবে ভেতর ভেতর তিনি বরাবর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক ছিলেন। মহিলাদের নিয়ে তার রিয়েলিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। আর সারা বাংলার মহিলাদের পাশে থাকেন যে মুখ্যমন্ত্রী তার পাশে রচনা থাকবেন না এমনটা হতেই পারে না।
আরও পড়ুন : কত টাকার মালিক রচনা ব্যানার্জী? প্রকাশ্যে এল সম্পত্তির পরিমাণ
আরও পড়ুন : ডিভোর্স হয়নি, তবুও কেন স্বামীর সঙ্গে থাকেন না রচনা ব্যানার্জী?
যদিও ভোটে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দরুণ সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’কে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “কী করে বুঝছেন যারা নিজেদের নির্যাতিত বলছেন, তারা সত্যিই নির্যাতিত?” রচনার এই মন্তব্যে ঘোর সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমনকি তাকে ‘সুবিধাবাদী নাম্বার ১’ বলতেও ছাড়ছেন না নেটিজেনরা।
View this post on Instagram