Rachna Banerjee Husband : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চলেছেন রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee)। তিনি জিততে পারবেন কি পারবেন না সেই নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। সেই সঙ্গে রচনা ব্যানার্জীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চলছে আলোচনা। তার নিজের ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে করা বিভিন্ন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠছে বারবার।
একবার নয়, ২ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রচনা ব্যানার্জী। প্রথমবার তিনি বিয়ে করেন উড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে (Siddhanta Mahapatra)। সেই বিয়ে মাত্র ১ বছর টিকেছিল। বিয়ে ভেঙে রচনা চলে আসেন কলকাতায়। এরপর নতুনভাবে শুরু হয় তার জীবন। তিনি বিয়ে করেন ব্যবসায়ী প্রবাল বসুকে (Probal Basu)।
তবে প্রবাল বসুর সঙ্গেও রচনা ব্যানার্জীর দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই তার আলাদা হয়ে যান। প্রবাল এবং রচনার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, নাম প্রণীল বসু। ছেলেকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান রচনা। খুব ছোট থেকেই ছেলেকে তিনি নিজের কাছে রেখে মানুষ করছেন একা। যদিও তার স্বামীও ছেলের প্রতি কর্তব্য পালন করেন।
রচনা এবং প্রবাল একসঙ্গে সংসার করতে না পারলেও ছেলের জন্য তারা ডিভোর্স নেননি। ছেলেকে যাতে শুনতে না হয় ডিভোর্সী বাবা-মায়ের সন্তান সেই কারণে রচনা ও প্রবাল ডিভোর্স নিতে চাননি। আর রচনা নিজেও নিজেকে স্ত্রী হিসেবে শূন্য নম্বরই দিয়েছেন। একবার একটি টক শোতে এসে তিনি খোলাখুলি স্বীকার করেন স্বামীর সঙ্গে তার যতটা মানিয়ে চলা উচিত ছিল তিনি তা করতে পারেননি।
আরও পড়ুন : রচনা ব্যানার্জীর আসল নাম কী? কেন নিজের নাম গোপন রাখেন তিনি?
রচনা বলেন, “প্রত্যেকের জীবনেই একটা লক্ষ্য থাকে, চাওয়া পাওয়া থাকে। আমরা, বিশেষ করে মেয়েরা যারা অভিনয় জগতে রয়েছি, তাদের বিয়ে করার আগে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। এমন মানুষকে বিয়ে করা উচিত যারা সেই পেশাটাকে বুঝবেন। আমাদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে অনেক আলাদা। কেবল বোঝা-জানা নয়… অপর মানুষটাকে অনেক ত্যাগও করতে হয়। এইগুলো না হলে, সুখী সংসার হওয়া খুব মুশকিল”।
আরও পড়ুন : কত টাকার মালিক রচনা ব্যানার্জী? প্রকাশ্যে এল সম্পত্তির পরিমাণ
আরও পড়ুন : রচনা ব্যানার্জীর পড়াশোনার দৌড় কতদূর?
২ বার বিয়ে ভাঙ্গার পর রচনা আর তৃতীয় বিয়ের পথে হাঁটেননি। বরং ছেলে এবং বাবা-মাকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নিজের নতুন সংসার। তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এখন ছেলে এবং মাকে নিয়ে থাকে রচনা। অবশ্য প্রবাল পরীক্ষার সময় ছেলেকে এসে পড়ান। রচনা, প্রবাল এবং প্রণীল মিলে একসঙ্গে ঘুরতে যান, খাওয়া-দাওয়াও করেন। এই ভাবেই একসঙ্গে না থেকেও কো প্যারেন্টিং করে ছেলেকে বড় করে তুলছেন রচনা ও প্রবাল।