৯০ এর দশকের বলিউডের সুপারহিট ৫ অশ্লীল গান, শুনলে কানে আঙুল দেবেন

বলিউডের সেরা ৫ নোংরা গান! ভুলেও বাড়ির সবার সামনে শুনবেন না

Pinki Banerjee

Published on:

Double Meaning Superhit Songs : ৯০ দশকের বহু হিন্দি গান রয়েছে যা আজও রিমিক্স করা হয়। কুমার শানু বা অলকা ইয়াগ্নিকের গলায় গান আজও গুনগুন করে মানুষ। তবে মজার ব্যাপার হল, এই গানগুলোর মধ্যেই এমন কিছু গান আছে যেগুলি ছিল দ্বৈত অর্থপূর্ণ, অর্থাৎ এই গানগুলির দু রকম অর্থের আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছিল। আজ তেমনই ৩টি গান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে এই প্রতিবেদনে।

‘চড় গ্যয়া উপর রে, অটরিয়া পে লোটান কবুতর রে’

১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দালাল’ সিনেমার এই গানটি ছিল সেই সময় ভীষণ জনপ্রিয়। এই গানটি দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী এবং আয়েশা জুলকাকে। অলকা ইয়াগনিক, বাপ্পি লাহিড়ী, ইলা অরুণ এবং কুমার শানুর গলায় রেকর্ড করা হয়েছিল এই গানটি। গানটি লিখেছিলেন মায়া গোবিন্দ এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী। এই গানটি গাওয়ার জন্য তখন বহু তরুণ তরুণীকে বাবা-মার থেকে বকুনি খেতে হত।

‘চোলি কে পিছে ক্যয়া হ্যায়’

এই গানটি শুধুমাত্র হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, সারা বিশ্বের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। কিন্তু এই গানটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও গানটি বড়দের সামনে গাওয়া যায় না। গানটির শব্দ চয়ন এমনই অস্বস্তিকর যে গানটি গাইতে কোথাও যেন অস্বস্তি হয় সকলের। ‘খলনায়ক’ সিনেমার এই বিখ্যাত গানটিতে অভিনয় করেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত এবং সঞ্জয় দত্ত। গানটি গেয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিক এবং ইলা অরুণ। গানটি রচনা করেছিলেন আনন্দ বক্সী। কম্পোজ করেছিলেন লক্ষীকান্ত- প্যারেলাল।

আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘ও টুনির মা’র গায়ক? এখন কোথায় কীভাবে কাটছে তার দিন?

‘সরকাই লো খাটিয়া জাড়া লাগে’

১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাজা বাবু’ সিনেমার এই গানে অভিনয় করেছিলেন গোবিন্দা এবং করিশমা কাপুর। এই গানটির শব্দচয়ন অনেকবার বিতর্ক তৈরি করেছিল। সেন্সর বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল সকলের মনে। এই গানটি গেয়েছিলেন পূর্ণিমা এবং কুমার শানু। কম্পোজ করেছিলেন আনন্দ মিলিন্দ।

আরও পড়ুন : তার গানে নেচে ভাইরাল হলেও দেননি একটা টাকা! জনপ্রিয় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ‘বাদাম কাকু’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে একটি চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে জাভেদ আখতারকে প্রশ্ন করা হয়, কেন এখন ভালো গান তৈরি হয় না। উত্তরে গীতিকার বলেন, “আগে যে গানগুলি তৈরি হয়েছিল সেগুলিও কিন্তু তেমন ভালো নয়। ব্যাপারটা হল গানগুলি মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ব্যাপক আকারে। কোটি কোটি মানুষই এই গানগুলি পছন্দ করে এসেছে অর্থাৎ গান কেমন হবে তা নির্ভর করে শ্রোতাদের ওপরেই।”