বাংলা সিরিয়াল, বর্তমান ওটিটি প্রজন্মেরও বিনোদনের একটা বড় মাধ্যম। সিরিয়ালের গল্প এমনিতেই লার্জার দ্যান লাইফ হয়, সেখানে বাস্তবতা খুঁজতে যাওয়াই বৃথা। তবে গল্পে টুইস্ট আনার জন্য সিরিয়ালগুলো মাঝেমধ্যেই এমন এমন কিছু বিষয় দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে যা হজম করতে বেশ কষ্ট হয়। যেমনটা হচ্ছে কালার্স বাংলার (Colours Bangla) ‘তুমি যে আমার মা’ (Tumii Je Amar Maa) সিরিয়ালটিকে নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে মাঝেমধ্যেই ফেসবুকে কিছু কিছু সিরিয়ালের দৃশ্য ভাইরাল হয়। কখনও দেখা যায় উড়ন্ত সিঁদুর কিংবা ছুটন্ত মালায় নায়ক-নায়িকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, কখনও আবার পরীক্ষার হলে পেনের অভাবে উত্তর লিখতে না পারায় ১০০তে ১০০ না পাওয়ার আক্ষেপে কান্নাকাটি করছে নায়িকা! এবার ‘তুমি যে আমার মা’ সিরিয়ালে যা দেখানো হলো তাতে চোখ কপালে উঠল দর্শকদের।
ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকরা জানেন এর গল্প আসলে ছোট্ট মেয়ে আরোহীর মাকে খুঁজে পাওয়া নিয়ে। মা মারা যাওয়াতে ছোট থেকেই মায়ের অভাবে কষ্ট পেত সে। যদিও সে ছিল বাবার আদরের মেয়ে। গল্প কিছুদূর এগোলে তার জীবনে আসে নতুন মা। এখন গল্পের প্রেক্ষাপট অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ছোট্ট আরোহীও এখন বড় হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের যে নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে আরোহী মায়ের প্রাক্তন প্রেমিককে বিয়ে করে বাড়িতে এসে উঠেছে। বাংলা সিরিয়ালে এমনটা আগে কখনও দেখানো হয়নি। কাজেই এমন একটা দৃশ্য দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না দর্শকরা। মায়ের এক্স বয়ফ্রেন্ডকেই ভালোবেসে ফেলেছে মেয়ে। আর তাকেই বিয়ে করে নিল আরোহী!
আরোহীর বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন ঐন্দ্রিলা সাহা। তাকে এর আগে মিঠাই সিরিয়ালে নিপার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। এদিকে বাংলা ধারাবাহিকের এমন গল্প দেখে দর্শকদের তো মাথায় হাত। কেউ কেউ বলছেন কেবল বাংলা সিরিয়ালেই এগুলো দেখানো সম্ভব! এমন গাঁজাখুরি দেখানোর জন্য লেখককে তুলোধোনা করছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন : সরকারি চাকরিও ফেল! এই টিভি অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক শুনলে পিলে চমকে যাবে
আরও পড়ুন : আর নায়ক নয়, এবার গায়ক, জি বাংলার এই সিরিয়ালে কাম ব্যাক করছেন আদৃত রায়
সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ‘তুমি যে আমার মা’ এর নতুন প্রোমো। এই প্রোমো দেখে কেউ লিখছেন, ‘‘করুণ কাহিনী”। কেউ লিখছেন, “এসব বাংলা সিরিয়াল দেখার থেকে বাচ্চাদের কার্টুন দেখা ভালো।” আবার কেউ লিখছেন, “এগুলোই বাড়ির বয়স্ক মানুষরা দেখছেন, গল্পের লেখককে নোবেল দেওয়া উচিত।”