গত ২৭ নভেম্বর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) এবং পিয়া চক্রবর্তীর (Piya Chakraborty) বিয়ের পর থেকেই উত্তাল হয়েছিল নেট দুনিয়া। পরমব্রত-পিয়া এবং অনুপমকে নিয়ে একের পর এক পোস্ট করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে কথা বলেছেন অনেকেই। এবার পরম ও পিয়াকে নিয়ে মুখ খুললেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)।
২ বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ সালে অনুপম রায় এবং পিয়া চক্রবর্তীর ডিভোর্স হয়ে যায় আর তারপর থেকেই পিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পরমব্রতর। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় সুইডেন এবং ডেনমার্ক যাওয়ার পর পরমব্রত এবং পিয়া ঠিক করেন তারা বিয়েকরবেন। প্রথম থেকেই এই সম্পর্কের কথা গোপন করে রেখেছিলেন দুজনেই। স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করে পরমব্রত এবং পিয়ার বিয়ের খবর জানাজানি হতে কার্যত সকলেই চমকে যান।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে, সেটা যে এতটা সাদামাটাভাবে হবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। সকলের আড়ালে শুধুমাত্র পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে আইনিভাবে বিয়ে সারেন এই জুটি। প্রথমদিকে কোন কটাক্ষের বিরুদ্ধে কেউ কথা না বললেও পরবর্তীকালে পরমব্রত বলেন, “আমরা কোন কটাক্ষকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দি না। আপাতত নতুন জীবন নিয়েই আমরা ব্যস্ত। এই সমস্ত ট্রল আমাদের জীবনের উপর কোন ছাপ থাকে না।” অভিনেতার পাশাপাশি মুখ খুলে ছিলেন পিয়াও।
অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী-র তকমা পাওয়া পিয়া বলেন, “অমুকের বউ তমুককে বিয়ে করলেন, এই ব্যাপারটার মধ্যে ভয়ানক মিসোজিনি রয়েছে। আমার সঙ্গে যে দুই পুরুষ লিংকড, তারা দুজনেই বিখ্যাত। কিন্তু আমার কেন পরিচিতি হবে আমি কারোর এক্স। আমি আমার সন্তানদের ফেলে রেখে এসেছি এই কথাটিও ভীষণভাবে মিথ্যে। আমার ডিভোর্সের সঙ্গে নতুন বিয়ের মধ্যে সময়ের ফারাক কিন্তু দুই বছর, এটা ভুলে গেলে চলবে না।”
আরও পড়ুন : ‘ঠাস করে চড় মারতে ইচ্ছে হয়’! পরম-পিয়ার বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক স্বস্তিকা
এবার পরমব্রত এবং পিয়ার পাশে দাঁড়ালেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,”দুজন মানুষের বিয়ে কোন কারনে টেকেনি। তারপরে সেই বিয়ে থেকে বেরিয়ে অন্য সম্পর্কে গিয়েছে একজন। এই সহজ ব্যাপারটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। এতদিন আমায় বলা হতো বর চুরি করে নিয়েছে, এখন আর একটা শুনছি, বউ চোর।”
আরও পড়ুন : বন্ধুর ‘বউ চুরি’ করে বিয়ে! অবিরাম কটাক্ষে মুখ খুললেন পরমব্রত চ্যাটার্জী
বৈশাখী আরো বলেন, “কোন কারনে সম্পর্ক ভেঙে যেতেই পারে। দু’বছর পরেও যেতে পারে, দুদিন পরেও যেতে পারে। কিন্তু এখানে দেখছি, অনুপমের গাওয়া সব বিরহের গানই এখন জুড়ে দেওয়া হচ্ছে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের সঙ্গে। এতদিন দুপক্ষের দোষ দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু যেই এক পক্ষের আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ওমনি সমস্ত দোষ তার হয়ে গেল। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া পেয়ে গেল আরেকটি বৈশাখীকে।”