বলিউডর লাভ ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে যখনই কথা হয়েছে, তখনই উঠে এসেছে অমিতাভ বচ্চন, রেখা এবং জয়া বচ্চনের নাম। সংবাদমাধ্যমে অথবা ম্যাগাজিনের পর্দায় এই প্রেম কাহিনী নিয়ে বহু কথা বলা হলেও কখনো অমিতাভ বচ্চনকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে সাহস করে না কেউ। সাংবাদিকদের সঙ্গে বিগ বি নম্রভাবে কথা বললেও ব্যক্তিগত এই প্রসঙ্গে কথা বললে তিনি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারেন তা জেনেছিলেন এক সাংবাদিক।
অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার সম্পর্ক ঘিরে বহু গুঞ্জন শোনা যায় এমনকি রেখা, বিধবা হলেও কেন এখনো সিঁদুর পড়ে থাকেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। অনেকেই মনে করেন সিঁদুর পড়ে থাকেন শুধুমাত্র অমিতাভ বচ্চনের জন্য যদিও রেখার বক্তব্য, তার সিঁদুর পড়তে ভালো লাগে তাই তিনি পড়েন। এদিকে ১৯৭৩ সালে জয় বচ্চনকে বিয়ে করার পরে রেখার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অমিতাভের, যা বারবার স্পষ্ট হয়ে যায় বেশ কিছু ঘটনায়।
১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ সিনেমায় প্রথমবার অমিতাভ বচ্চন এবং রেখা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। জানা যায়, তখন থেকেই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন রেখা এবং অমিতাভ। ‘গঙ্গা কি সৌগন্ধ’, সিনেমায় কোন সহ অভিনেতা রেখার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে ভীষণভাবে রেগে যান অমিতাভ যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যায় রেখার প্রতি ভীষণ দুর্বল বিগ বি। ‘সিলসিলা’ সিনেমাটি রেখা জয়া এবং অমিতাভের বাস্তব জীবন নিয়েই তৈরি করা হয়েছিল বলে আন্দাজ করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা যে অমিতাভ একেবারেই পছন্দ করেন না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় একটি ঘটনা থেকে।
১৯৯২ সালে অনেক অপেক্ষার পর অমিতাভ বচ্চনের বাড়িতে তার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। অমিতাভ এবং জয়া বচ্চনের সামনে ফিল্ম ক্যারিয়ার রাজনীতি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন সেই সাংবাদিক। কিছু প্রশ্নের পর হঠাৎ করেই রেখার বিষয়ে প্রশ্ন করে ফেলেন তিনি। তিনি যে কত বড় ভুল করে ফেলেছেন তা কিছুক্ষণ বাদে টের পান প্রশ্ন দাতা।
আরও পড়ুন : ‘‘ইচ্ছে করে সিনেমা থেকে সরিয়ে দিতেন জয়া’, অমিতাভ-পত্নীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মৌসুমী চ্যাটার্জী
অমিতাভকে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন,” জয়া ছাড়া অমিতাভের জীবনে কোন মহিলা আছেন কিনা। ” প্রশ্ন শুনে অমিতাভ বলেছিলেন, “কেউ নেই।” অমিতাভ বিচলিত না হলেও জয়ার বিচলিত ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল সেই মুহূর্তে। সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিক এবং ক্যামেরাম্যানকে লাঞ্চের জন্য একই টেবিলে খাবার আমন্ত্রণ জানান শাহেনশা। সেই টেবিলেই ঘটে আসল ঘটনা।
আরও পড়ুন : ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে রেখা-অমিতাভকে দেখে কেঁদে ফেলেন জয়া! রেখাকে এইভাবে শায়েস্তা করেন জয়া বচ্চন
আরও পড়ুন : স্বামী-সন্তান কেউই নেই, রেখার ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাবেন কে?
অমিতাভ ভাত খেতে পছন্দ করতেন না। অথচ জয়া সব জেনেও সাংবাদিকের সঙ্গে খাবার টেবিলে তাকে রুটির বদলে ভাত পরিবেশন করেন। অমিতাভ জয়ার উপরে রাগ দেখাতে শুরু করলে জয়া তাকে শান্ত হতে বলেন। ব্যাপারটা হয়ত তেমন কিছু নয় কিন্তু সেই সাংবাদিক বন্ধু ততক্ষণ বুঝে গেছেন এই রাগ আসলে তার ওপর। কিন্তু তখনো ঠিক কি ভুল হয়েছে তা বুঝতে পারেননি সাংবাদিক, অফিসে পৌঁছানোর পর আসল ঘটনা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। অফিস পৌঁছানোর পর তিনি জানতে পারেন, অমিতাভ ফোন করে জানিয়েছেন রেখার অংশটা যেন সাক্ষাৎকারের ভিডিও থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : পরিবারের বিবাদ চরমে, সম্পত্তির ভাগাভাগি করে দিলেন অমিতাভ বচ্চন! কে কত টাকা পেল?