কুচুটে বোনের চরিত্র আর নয়! অভিনয় ছেড়ে নতুন পেশা নিতে চলেছেন ‘ইচ্ছে পুতুল’ ময়ূরী

পর্দায় তাঁকে দেখলেই রাগ হয়ে যায়। কেন বাপু একটা ছোট্ট বোনের সংসার ভাঙতে চলেছ তুমি বারবার? এরকম কি কথা ছিল? এত সুন্দর দেখতে তোমাকে আর এমন তোমার চরিত্র? এই কথাগুলি অনায়াসে বলা যায় হয়তো জি বাংলা (Zee Bangla)ময়ূরী ওরফে শ্বেতা মিশ্রা (Sweta Mishra) -কে। এত সুন্দরী একজন অভিনেত্রী কেন বারবার খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন? অভিনয় জগতে না এলে কি করতেন তিনি? সবকিছুই ফাঁস করেছেন টেলিভিশনের মাধ্যমে।

সম্প্রতি ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) ধারাবাহিকে ময়ূরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্বেতা মিশ্রা। মেঘের মতো একজন নিরীহ মেয়েকে কিভাবে বারবার কাঁদাচ্ছে ময়ূরী, এ নিয়ে বহুবার প্রশ্ন তুলেছিল সাধারণ মানুষ। আবার অনেকেই ময়ূরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যান বারবার। ইতিবাচক নেতিবাচক যেমনি মন্তব্য হোক না কেন ময়ূরীর ফ্যানবেস যে মেঘের থেকে একটু হলেও বেশি তা বলাই বাহুল্য।

Sweta Mishra

সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানে ‘ইচ্ছে পুতুল’ পরিবারের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন শ্বেতা। রচনার সঙ্গে গল্প করতে গিয়ে নিজের জীবনের নানান অজানা গল্প সকলের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, কর্মসূত্রে পরিবার ছেড়ে কলকাতায় রয়েছেন এবং বাংলা ভাষা শিখেছেন ভালোবেসে। জন্মসূত্রে মারোয়াড়ি হলেও এখন তিনি নিজেকে বাঙালি বলেই মনে করেন। মারোয়াড়ি পরিবারের মেয়ে হয়েও তিনি নিজের হাতে রান্না করেন মাছ, মাংস, ডিম।

রচনাকে শ্বেতা আরো বলেন,” যেখানে থাকছি সেখানকার সংস্কৃতিকে যদি না ভালোবাসি তাহলে কি চলে? আমার বাংলার খাবার থেকে ভাষা সব কিছুই ভীষণ ভালো লাগে এর মধ্যে অনেক বাঙালি রান্না শিখে গেছি আমি। যেমন খেতে ভালবাসি তেমন খাওয়াতেও ভীষণ ভালোবাসি”।

Sweta Mishra

এরপরেই রচনা জিজ্ঞাসা করেন, “তা রান্না করে কাকে খাওয়ানো হয়”? প্রশ্ন শুনে হালকা হাসি হেসে অভিনেত্রী বলেন, “বিশেষ বন্ধুকে”। এই বিশেষ বন্ধু সম্পর্কে আরো কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন,” আমার এই বিশেষ বন্ধু খাবারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সব থেকে বড় কথা আমার এই প্রিয় বন্ধু কিন্তু মিস্টার সেনগুপ্ত,অর্থাৎ বাঙালি”।

আরও পড়ুন : দেবের বাঘাযতীন সিনেমার নায়িকা আসলে কে? রইল টলিউডের নতুন নায়িকার পরিচয়

Sweta Mishra

আরও পড়ুন : ডিভোর্সী নাকি সেপারেটেড? স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রচনা ব্যানার্জী

রচনা সঙ্গে শ্বেতার কথোপকথনের মধ্যেই মেঘ বলে ওঠে, “শুধু খাওয়াতে ভালোবাসে বলে কিন্তু রান্না করে না। বিশেষ বন্ধু যেহেতু খাবারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাই ও ভবিষ্যতে নিজের ব্যবসার পথ খোলা রাখছে এইভাবে”। এর উত্তরে শ্বেতা বলেন,” মারোয়াড়ি হয়ে ব্যবসা করব না তাকে কখনো হয়। আমার এখন থেকেই ইচ্ছা আমি ভবিষ্যতে কোনো না কোনো ব্যবসা করব”।