বলিউড (Bollywood) -এর এভারগ্রিন ডিভা মীনা কুমারী (Meena Kumari)। তিনি তার অভিনয় আর রূপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। পর্দায় তার নীরব সৌন্দর্য এবং চোখের সেই সকরুণ আর্তি সবসময়ই মানুষকে টেনেছে, মোহমুগ্ধ করে রেখেছে। এমনকি তার প্রেমে পাগল ছিল তখনকার তাবড় তাবড় অভিনেতারাও। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। যদিও শোনা গিয়েছিল মিনা কুমারীর সঙ্গে প্রেম করার কারণে ধর্মেন্দ্রকে শাস্তি দিয়েছিল অভিনেত্রীর স্বামী কমল আমরোহি (Kamal Amrohi)।
বলিউডের ট্র্যাজেডি কুইন নামে পরিচিত মীনা কুমারী আবার ফিমেল গুরু দত্ত নামেও খ্যাতি পেয়েছিলেন।মাত্র ৪ বছর বয়সে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।নিজের সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। অনেকেই বোধহয় জানেন, নাজ ছদ্মনামে কবিতাও লিখতেন মীনা কুমারী। কবিতা ছাড়াও, প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবেও ছাপ রেখেছেন তিনি।
তবে কেরিয়ারের পাশাপাশি প্রায়শই তিনি তার বাস্তব জীবনে প্রেম নিয়েও শিরোনামে থাকতেন। পাঁচ-ছয়ের দশকের প্রথম সারির নায়িকা মীনার সঙ্গে জড়িয়েছে বহু পুরুষের নাম। জল্পনা ছিল, ছয়ের দশকের উঠতি হিরো ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল তিন বছর। তবে মীনা কুমারীর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, তা ছিল মাত্র মাস ছয়েকের। যদিও ধর্মেন্দ্র সেই সম্পর্ককে একজন তারকা আর তার ফ্যানের মধ্যেকার সম্পর্ক বলে দাবি করেছেন।
ধর্মেন্দ্রর কেরিয়ারের প্রথম দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মীনা কুমারী। অভিনেতাকে তিনি সবরকম সাহায্য করতেন। আর তা কখনও ভুলতে পারেননি ধর্মেন্দ্র। কিন্তু একটা সময়ে ধর্মেন্দ্র আর মীনা সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনেক কাটাছেড়া চলেছে। কিন্তু অভিনেত্রীর স্বামী সেগুলো ভালো চোখে নিতেন না। সেই সময় তিনি ধর্মেন্দ্রর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার এক অন্য পন্থা ভেবেছিলেন।
পরিচালক কমল আমরোহি রাজিয়া সুলতান নামের একটি ছবি তৈরি করেছিলেন। যেখানে রাজিয়া সুলতানার ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য তিনি হেমা মালিনিকে নিয়েছিলেন। আর তার স্বামী ধর্মেন্দ্রকে তিনি ‘জামাল-উদ-দিন ইয়াকুত’-এর ক্রীতদাসের চরিত্রে জন্য কাস্ট করেছিলেন। এই ছবিতে ক্রীতদাসের উপর খুব নির্মম ভাবে অত্যাচারের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ৬ সন্তান থাকতেও বুড়ো বয়সে দেখার কেউ নেই! নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র
আরও পড়ুন : রূপে দিদিমাকেও ১০ গোল দেবে, ধর্মেন্দ্র-হেমার নাতনিকে চেনেন? দেখুন ছবি
এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ধর্মেন্দ্রকে তার শরীরে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালো রং লাগাতে হয়েছিল। আর সেই অবস্থায় মরুভূমিতে সূর্যের দিকে মুখ করে অভিনেতাকে ছুটতে হয়েছিল। কারন সেখানে সিন ছিলো ক্রীতদাসকে সেই ছোটার সময় গুলি করা হবে। যদিও এটা অনেকে স্বাভাবিক চোখেই দেখেছে। অনেকে আবার মনে করেছেন ধর্মেন্দ্রর ওপর শোধ নেওয়ার জন্যই তাকে দিয়ে এরকম একটা চরিত্রে অভিনয় করিয়েছিলেন কমল।