সিরিয়ালের থেকেও কঠিন ‘মা’ সিরিয়ালের ঝিলিকের বাস্তব জীবন, শুনলে চোখে জল আসবেই

স্টার জলসা (Star Jalsha) -র মা (Maa) সিরিয়ালের ঝিলিককে আজ এত বছর বাদেও ভুলতে পারেননি দর্শকরা। এই ধারাবাহিকে ঝিলিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিথি বসু (Tithi Basu)। তবে ওই একটি সিরিয়ালের পর আর কখনও টিভির ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি তাকে। দর্শকরা তাই তাকে আজও খুব মিস করেন। কিন্তু হঠাৎ সিরিয়াল ছেড়ে দিলেন কেন অভিনেত্রী? জানতে হলে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও জানতে হবে।

মা সিরিয়ালে যেমনটা দেখানো হয়েছিল, ছোট্ট ঝিলিক খুব ছোটবেলাতে তার বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়। ঝিলিক ওরফে তিথি বসুর বাস্তব জীবনটাও ছিল সেরকমই। খুব ছোটবেলাতে তার বাবা এবং মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছিল তার জীবনে। কিন্তু অত ছোট বয়সের এই ঘটনা তাকে অনেক বেশি দায়িত্ববান হতে শেখায়।

TITHI BASU

আজ এত বছর বাদে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত সম্পর্কে মুখ খুললেন তিথি বসু। তিনি তার সাক্ষাৎকার জানিয়েছেন আই সি এস সি পরীক্ষা দেওয়ার ঠিক আগে তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মানসিক এবং সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক দিক থেকে তারা ভেঙে পড়েছিলেন। বাবা ছেড়ে চলে যাওয়াতে ওই বয়সেই তার কাঁধের উপর অনেক বড় দায়িত্ব চেপে বসে।

তিথি বুঝেছিলেন তাকে ওই বয়স থেকেই সিরিয়াল করতে হবে। নিজের এবং মায়ের খরচ চালানোর জন্য তাই তিনি উপার্জন করতে শুরু করেন। স্টার জলসার মা সিরিয়ালটি প্রায় দশ বছর চলেছিল। ঝিলিকের ছোটবেলা থেকে বড় বেলা পর্যন্ত অভিনয় চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিথি। পরে তার বদলে আসেন নতুন নায়িকা। তিথি আসলে নিজে থেকেই ছেড়ে দেন অভিনয়।

TITHI BASU

আসলে অভিনেত্রী বেশ বুঝতে পেরেছিলেন উপার্জনের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও তার চালিয়ে যেতে হবে। তাই সিরিয়াল ছেড়ে তিনি লেখাপড়ার দিকে মন দেন। কিন্তু দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তাকে আর কোনও নতুন সিরিয়ালে দেখা যায়নি। অথচ তার জনপ্রিয়তা আজও অটুট রয়েছে দর্শকদের মধ্যে। অভিনয় ছেড়ে তিনি এখন কী করছেন জানেন?

TITHI BASU

আসলে অভিনয় ছেড়ে এখন ব্লগার হয়েছেন তিথি বসু। আর পাঁচজন নায়িকার মত তারও ফেসবুকে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে তিনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন। আপাতত সিরিয়ালে ফেরার তার কোনও ইচ্ছা নেই। কারণ তিনি দশটা-পাঁচটার চাকরি করার মত বাঁধাধরা কাজ করতে পারবেন না। সেই কারণেই তিনি নিজেকে এত বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।