Silk Smitha : চলচ্চিত্র জগতের গ্ল্যামারের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক গল্প। এখানে পর্দায় খেলা দেখা হাসিমাখা মুখগুলোও হৃদয়ের অনেক বেদনা লুকিয়ে থাকে। সেরকমই একজন দক্ষিণী ভারতীয় সিনেমার (South Indian Film) অভিনেত্রী হলেন স্লিক স্মিতা (Silk Smitha)। তিনি সিনেমা জগতে অনেক নাম কুড়িয়েছিলেন কিন্তু তার জীবনের গল্প ছিল খুবই বেদনাদায়ক। এমনকি তার মৃত্যুও এখনও পযন্ত রহস্য রয়ে গেছে। চলুন জেনে নিই এই অভিনেত্রীর জীবন কেমন ছিল।
সিল্ক স্মিতার জন্ম হয়েছিল ১৯৬০ সালের ডিসেম্বর মাসে৷ অন্ধ্রপ্রদেশের কোবলি গ্রামে হয়েছিল৷ পরিবার হত দরিদ্র ছিল৷ তাকে কোনওক্রমে ক্লাস ফোর অবধি পড়ানো হয়েছিল৷ এরপর ১৪ বছর হতে হতেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার৷ কিন্তু বিবাহিত জীবন ছিল আরও দুঃসহ। বিয়ের পর থেকে তার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। সে সব মানতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে চেন্নাই চলে আসেন।
কিন্তু দিন গুজরান করার জন্য তাকে কিছু করতেই হত৷ চেন্নাইয়ে এক অভিনেত্রীর বাড়িতে প্রথম পরিচারিকার কাজ পান তিনি। তিনি ওই অভিনেত্রীর মেক আপে সাহায্য করতেন। আর সেখান থেকেই তিনি একজন টাচআপ অভিনেত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ তারপর তিনি ছোটখাটো রোল পেতে শুরু করেন৷ কথিত সিল্ক স্মিতার আসল নাম বিজয়লক্ষ্মী বডলাপটলা ছিল৷ ফিল্মে তার নাম বদলে স্মিতা হয়ে যায়৷
এরপর সিল্ক স্মিতা বন্দিচক্করম ছবিতে বার গার্লের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ তার অভিনয় লোকের এত পছন্দ হয় যে তাকে সিল্ক স্মিতা বলতে শুরু করেন৷ এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে দেখতে হয়নি৷ নিজের অভিনয় দিয়ে সিল্ক এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন যে, কোনও ফিল্মে তার একটি আইটেম ডান্স ঢুকিয়ে দিলেই সেই ফিল্ম হিট হয়ে যেত। এ রকমই ছিলেন সিল্ক।
সিল্ক অভিনয় জগতে পা রাখার পর তার বোল্ডনেস এবং সৌন্দর্য্য দর্শকদের মন কেড়ে নেয়৷ লক্ষ লক্ষ দর্শকের নয়নের মণি হয়ে যান৷ তবে তার ভক্তের সংখ্যা যতটা ছিল, তার বন্ধুর সংখ্যা ততটাই কম ছিল। কম কথা বলা সিল্কের হাতেগোনা কয়েক জন বন্ধু ছিলেন। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, সিল্ক ছিলেন শিশুর মতো নরম মনের মানুষ।
আরও পড়ুন : কাপুর পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে করিশমা করেছিলেন এই কাজ, জানলে স্যালুট মানবেন আপনিও
আরও পড়ুন : দুর্গাপূজার ফিতে কাটলেই লাখপতি! পুজো উদ্বোধনে টলিউড তারকাদের কার কত দর জানেন?
কিন্তু এর মধ্যেই ১৯৯৬ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর কেরিয়ারের শিখরে থাকার সময়ই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তার। চেন্নাইয়ে নিজের বাড়িতে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃত্যুর আগে তার এক বন্ধুকে ফোন করে কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন তিনি। তার বন্ধু যত ক্ষণে পৌঁছন, তত ক্ষণে সিল্কের মৃত্যু হয়েছিল। ময়নাতদন্তে তার শরীরে প্রচুর অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছিল এবং এটাকে সুইসাইড বলেই কেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।