করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অক্সিজেন যোগাচ্ছে দক্ষিণী সিনেমাগুলি। প্রভাস, অল্লু অর্জুন, জুনিয়র এনটিআর, রামচরণ, যশদের ব্লকবাস্টার হিট ছবিগুলির সাফল্যের কাছে বলিউড ফিকে। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কেজিএফ’ দক্ষিণী অভিনেতা যশকে (Yash) সুপারস্টার করে দিয়েছে রাতারাতি। ‘কেজিএফ ২’ মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ৬২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তবে কেজিএফ ছাড়াও যশের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সুপারহিট সিনেমা। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল সেইসব সুপারহিট দক্ষিণী ছবির তালিকা।
কেজিএফ চ্যাপটার ১ (KGF Chapter 1) : ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি বক্স-অফিসে রেকর্ড গড়েছিল। দক্ষিণী অভিনেতা যশ সারা ভারতের সিনেপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই ছবি মারফত। এই ছবিটিই যশকে রকি ভাই হিসেবে চিনিয়ে দিয়েছে। ছবিটি থেকে বক্স অফিসে ২৫০ কোটি টাকা উঠে এসেছিল।
সন্তু স্টেট ফরোয়ার্ড (Santu State Forward) : কেজিএফ মুক্তি পাওয়ার ২ বছর আগেও যশের এই ছবিটি সুপারহিট হয়েছিল। মহেশ রাও পরিচালিত এই ছবিটি ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল। তামিল ছাড়াও হিন্দি এবং বাংলা ভাষাতেও ডাবিং করা হয়েছিল ছবিটিকে। বক্স অফিসে মোট ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ছবিটি।
মাস্টারপিস (Masterpiece) : যশ অভিনীত এই সুপারহিট ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। ছবিতে শানভি শ্রীবাস্তবের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন যশ। ছবির গল্প অনুসারে যুবা ওরফে যশ তার মায়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লোকাল গুন্ডা হয়ে উঠেছিল। এই ছবিটি বক্স অফিস থেকে ৩৫ কোটি টাকা তুলতে সমর্থ হয়েছিল।
গুগলি (Googly) : এই কন্নড় ছবিটিও যশ ভক্তদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ছবিতে যশের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন কৃতি খারবান্দা। এই রোমান্টিক ড্রামায় ‘শরৎ’ এবং ‘স্বাতী’র জুটি দর্শকরা দারুণ পছন্দ করেছিলেন। এই ছবিটিও বক্সঅফিসে ভালোই ব্যবসা করেছিল।
রাজাবলি (Rajabali) : যশ অভিনীত এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালে। ছবিতে এক ধনী জমিদারের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যশ। ছবিটি ৩০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
ড্রামা (Drama) : ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই রোমান্টিক কমেডি ড্রামায় যশের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন রাধিকা পন্ডিত। ছবিটি বানাতে খরচ হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। বক্সঅফিসে এই ছবি ২০ কোটি টাকার ব্যবসা করে।