দর্শকদের বিচারে বলিউডের সেরা ৫ টি সিনেমা, যেগুলি না দেখে থাকলে চরম মিস

ইদানিং বলিউডের (Bollywood) সিনেমা নিয়ে বেশ হতাশা ভর করেছে দর্শকদের মনে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অতি বড় সুপারস্টাররাও রীতিমত ফেল করে যাচ্ছেন বক্স অফিসে। অথচ একটা সময় ছিল যখন বলিউড নিয়ে মাতামাতি ছিল তুঙ্গে। বেশ কিছু ছবি দেখে চোখের জল বাঁধ মানতে চাইত না। এরকমই বলিউডের কিছু দুর্দান্ত ছবির (Best Movies Of Bollywood) তালিকা নিয়ে আজকে সাজানো হল এই প্রতিবেদন (5 Best Bollywood Movies of All Time)।

আনন্দ (Anand) : ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭১ সালে। তবে আজ ৫০ বছর পরেও রাজেশ খান্না এবং অমিতাভ বচ্চনের এই ছবি দেখতে বসলে দর্শকদের চোখ বেয়ে জল গড়াবেই। ছবিতে মৃত্যু পথযাত্রী এক ব্যক্তির জীবন দেখানো হয়েছিল যে নিজের শেষ সময়টুকু আনন্দ করে কাটাতে চায়। ছবির শেষ দৃশ্যে রাজেশ খান্নার মৃত্যু দেখেও চোখে জল আসেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।

 

বাগবান (Baghban) : বলিউডের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ছবিটি। অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী ছিলেন বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। ছেলেদের সংসারে বাবা-মায়ের কেমন গুরুত্ব থাকে সেই নিয়ে এই ছবিটিতে ছিল ইমোশনাল স্টোরি। ছেলেমেয়েরা বাবা-মাকে এক সঙ্গে রেখে তাদের দেখাশোনা করতে চায় না। তাই শেষ বয়সে এসে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী।

কাল হো না হো (Kal Ho Na Ho) : এই ছবিটি দেখে কেঁদেছে গোটা দুনিয়া। শাহরুখ খান, সাইফ আলী খান, প্রীতি জিন্টার ছবি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ছবি হয়ে থেকে যাবে। মৃত্যু পথযাত্রী শাহরুখ যেভাবে তার ভালোবাসা প্রীতিকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন এবং সেইফের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতেন তা দেখে বারবার কেঁদেছেন দর্শকরা।

রং দে বসন্তি (Rang De Basanti) : ২০০৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। দেশপ্রেম নির্ভর এই ছবিটির প্রত্যেকটি দৃশ্য দর্শকদের নাড়া দেবে। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমির খান, আর মাধবন, সোহা আলি খান, শরমন জোশি এবং অন্যান্যরা। এই ছবি দেখেও কেঁদেছেন দর্শকরা।

তারে জমিন পার (Taare Zameen Par) : আমির খানের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি ছিল তারে জামিন পার। ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত এক শিশুকে তার উপযোগী পঠন ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে আনা যায় সেই নিয়ে বানানো হয়েছিল ছবিটি। ছবিতে শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দর্শীল সাফারি। আমির খান ছিলেন শিক্ষকের ভূমিকায়।