

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision) জনপ্রিয় অভিনেত্রী সানন্দা বসাককে (Sananda Basak) ইদানিং আর সিরিয়ালের পর্দায় দেখা যায় না। অথচ একটা সময় ছিল যখন তিনি ধারাবাহিকভাবে বাংলা টেলিভিশনের চেনা মুখ হয়ে উঠেছিলেন। ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘জয়ী’, ‘প্রথমা কাদম্বিনী’, ‘নেতাজি’র মত একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন সানন্দা। কিন্তু কম বয়সের একটা ভুল সিদ্ধান্ত তার জীবন উলটপালট করে দেয়।
সানন্দার কেরিয়ার যখন বেশ ভালভাবেই এগোচ্ছিল তখন তিনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বিয়ের মাত্র ১ মাসের মধ্যেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। মেয়ের জন্মের পর অভিনয় জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর আচমকা এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিলেন ভক্তরা। এই বিষয়ে তিনি ‘দিদি নাম্বার ওয়ানে’ এসে রচনা ব্যানার্জীর কাছে মুখ খুলেছিলেন।
সানন্দা দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে বলেন তিনি প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তবে বিয়ের পর স্বামীর ভোলবদল হতে দেখেছেন। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ক্রমশ তার জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে। চোখের সামনেই তিনি তার জীবনসঙ্গীকে বদলে যেতে দেখেছেন। যে কারণে তাকে শেষমেশ এই বিবাহ বন্ধন থেকে বেরিয়েও আসতে হয়।
সানন্দা একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন। এখন তিনি তার কন্যাকে নিয়েই রয়েছেন। যেহেতু মেয়েকে ছোট থেকে তাকে একাই বড় করতে হয়েছে তাই তিনি আর অভিনয় করেননি। মেয়েকে সময় দেওয়ার জন্য তিনি শাড়ি এবং গয়নার ব্যবসা করতে শুরু করেন। সানন্দা জানিয়েছেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তবে বিয়ের মাত্র এক মাসের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে তার সমস্ত স্বপ্ন মাটিতে মিশে যায়।
সন্তানের জন্মের পর সানন্দা দেখেন তার অন্যান্য বন্ধুরা যেখানে সদ্য বিয়ে করে বিদেশে ঘুরতে যাচ্ছেন সেখানে তিনি ঘরে বসে মেয়েকে মানুষ করছেন। যে কারণে মাঝে মাঝে তিনি অনেক রেগে যেতেন তার স্বামীর উপর। বিয়ের পর সংসার ও মেয়েকে সামলাতে সামলাতে তিনি বিরক্ত হয়ে পড়তেন। তাই বাধ্য হয়ে অভিনয় ছেড়ে দেন অভিনেত্রী। এখন অবশ্য নিজের ব্যবসা এবং মেয়েকে নিয়ে তিনি সুখেই রয়েছেন।
সানন্দার কাছে তার মেয়েই এখন সব থেকে বড় বন্ধু। তার মেয়েও এখন বেশ অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। অভিনেত্রী পাকাপাকিভাবেই অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত তিনি মেয়েকে বড় করে তুলতে চান এবং সেই সঙ্গে নিজের ব্যবসাটাকেও বাড়াতে চান। তাই অভিনয়ে ফেরার কোনও ইচ্ছেই নেই তার।