প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ছবির গল্প টুকে তৈরি রঞ্জা-মল্লারের কেমিস্ট্রি, চাঞ্চল্যকর দাবি দর্শকদের

বাংলা ধারাবাহিকের গল্পে লজিক খুঁজতে গিয়ে কার্যত আরও একবার বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে দর্শকদের। জি বাংলার (Zee Bangla) ‘পিলু’ (Pilu) ধারাবাহিকে রঞ্জা এবং মল্লারের মধ্যে যে কেমিস্ট্রি দেখানো হচ্ছে তা দেখে মাথায় হাত পড়েছে দর্শকদের একাংশের। ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে মল্লার রঞ্জাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেও রঞ্জা তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানায় না।

ধারাবাহিকে দেখানো হয় মল্লার রঞ্জার কফিতে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারপর আবার নিজেই তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। হাসপাতালে জ্ঞান ফিরলে মল্লারের বিরুদ্ধে রঞ্জা পুলিশের কাছে কিছুই বলে না। এদিকে আবার রঞ্জাকে খুন করতে চাওয়ার অনুতাপে জর্জরিত হয়ে পড়েছে মল্লার।

Idhika Paul

এসব দেখে দর্শকদের প্রশ্ন, “মল্লার রাগের বশে রঞ্জার কফিতে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে, পরক্ষণেই আবার অনুতাপে জর্জরিত হয়ে তাকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করছে, অন্যদিকে রঞ্জাও এরকম আচরণ দেখে তার প্রতি গলে গিয়ে পুলিশের হাত থেকে তাকে বাঁচাচ্ছে-এটা কি ঠিক হচ্ছে?” ‘‘এইভাবে তো বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে বধূ নির্যাতনের কনসেপ্ট কে উসকে দেওয়া হচ্ছে”, বলছেন নেটিজেনরা।

অনেকেই আবার এর সঙ্গে পুরনো কিছু বাংলা ধারাবাহিকের তুলনা টানছেন। যেমন ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিতের ‘আঘাত’ ছবিতে নায়ক নায়িকার মধ্যে প্রথমে এরকমই তিক্ত সম্পর্ক দেখানো হয়। ঋতুপর্ণার উপর প্রসেনজিৎ অত্যাচার করলেও ঋতুপর্ণা শেষমেষ তারই প্রেমে পড়েন! এর পেছনে নায়ক-নায়িকার মনস্তাত্ত্বিক বিষয়াবলী তুলে ধরা হয়েছিল।

এরপর আবার সুদীপ মুখার্জী এবং মেঘনা হালদারের ‘প্রেম রোগ’ ছবিতেও দেখানো হয় একই ঘটনা। সুদীপ তার স্ত্রীর উপর অনেক অত্যাচার করলেও অত্যাচারী স্বামীকেই ভালোবেসে ফেলেন মেঘনা। এই দুটি ছবিই কিন্তু বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।

আসলে ‘পিলু’ ধারাবাহিক প্রথম নয়, এর আগে বাংলাতে এরকম অনেক ছবি দেখানো হয়েছিল যেখানে এমনই সব গল্প দেখানো হয় যা দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। সেই কেমিস্ট্রির উপর ভর দিয়েই গড়ে তোলা হচ্ছে পিলু-মল্লারের সম্পর্কে রসায়ন।