অন্ধ হয়েও প্রতিবন্ধকতা দূর করে দাদাগিরিতে বীরভূমকে জেতাল মইনুদ্দিন, পেল এই পুরস্কার

দাদাগিরি সিজন ৯ গ্র্যান্ড ফিনালের (Dadagiri Unlimited Season 9 Grand Finale) যাত্রা অবশেষে শেষ হল। গত রবিবার ফাইনাল রাউন্ডের শেষে বীরভূম হল এই সিজনের বিজেতা। যার হাত ধরে এই জয়লাভ করেছে বীরভূম আজ সে সারাবাংলার চোখের মণি। কিন্তু তার নিজেরই চোখের কোনও জ্যোতি নেই। বীরভূমের হয়ে লড়াই করে মইনুদ্দিন পেয়ে গিয়েছে দাদাগিরির ট্রফি। চোখের দৃষ্টি না থাকা তার প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠতে পারেনি।

দাদাগিরির ফাইনাল রাউন্ডে বাঁকুড়া, দার্জিলিং, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছিল। নাচে-গানে এবং আড্ডার মাঝে জমজমাট এই পর্বের শুটিং হয়েছিল বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে। প্রতিযোগিতায় বাকি জেলাগুলোকে হারিয়ে সেরার সেরা হয়ে ওঠে বীরভূম।

অন্তিম পর্ব শেষ হওয়ার আগে শেষ প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়েছিল বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে মইনুদ্দিন আগেই বীরভূমকে ৬২ পয়েন্টে পৌঁছে দিয়েছিল। এতে বীরভূম বাকিদের থেকে এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে প্রতিযোগিতা শেষে ৫০ নম্বর নিয়ে রানারআপ হয়েছিল টিম দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ৪৯ পয়েন্ট পেয়ে কলকাতা হয়েছে দ্বিতীয় রানার আপ।

দাদাগিরিতে নিজের তুখর বুদ্ধির প্রমাণ রেখেছে মইনুদ্দিন। প্রত্যেকটি প্রশ্নের একের পর এক সঠিক জবাব দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করে দিয়েছে সে। বিজেতা হিসেবে মইনুদ্দিন পেয়ে গিয়েছে অনেক পুরস্কার। নিজের জেলাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করার জন্য সে পেয়েছে একটা ফ্ল্যাট। এছাড়াও এই সিজনের সর্বোচ্চ স্কোরার বীরভূম জেলার আরেক প্রতিযোগী পেয়েছেন একটি গাড়ি।

জামাইষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দাদাগিরির ফাইনাল পর্বের সম্প্রচার হয়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, দিতিপ্রিয়া রায় ও বাংলা টেলিভিশন থেকে মিঠাই, যমুনা ঢাকি, উর্মি সংগীতদের দুর্দান্ত নাচের পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে কেটে গেল জামাইষষ্ঠীর সন্ধ্যা। সঙ্গে ছিল গায়ক রূপম ইসলামের গান। কমেডিয়ান কাঞ্চন মল্লিকও হাজির ছিলেন এদিন দাদাগিরির মঞ্চে।