“মানুষ খেতে পাচ্ছে না, আর আপনি রান্না শেখাচ্ছেন”, রান্নাঘরের সুদীপাকে ধুয়ে দিলেন নেটিজেনরা

যেকোনো মানুষের মনের রাস্তা নাকি তার পেট থেকেই শুরু হয়! অর্থাৎ যেকোনো মানুষের মনের খুব কাছাকাছি পৌঁছতে হলে তাকে লোভনীয় খাবার অফার করুন বা রেঁধে খাওয়ান। তাহলেই তিনি আপনাতে অনুরক্ত হয়ে উঠবেন। রান্নার হাত ভালো করার জন্য অনলাইন, অফলাইন দারুন দারুন সব কুকিং ক্লাস চলে। বাড়িতে মা-ঠাকুমার রান্না ছাড়াও অন্যান্য রান্না শিখতে হলে তার একটি উপায় হলো টেলিভিশনের কুকিং চ্যানেলগুলির উপর নজর রাখা।

জি বাংলার জনপ্রিয় কুকিং শো “রান্নাঘর”। বিগত প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুদীপার “রান্নাঘর” বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এই কুকিং শোয়ের সঞ্চালনা করেন সুদীপা চ্যাটার্জী। তার সহজ সাবলীল সঞ্চালনা, মিষ্টি ব্যবহার দর্শকদের খুব পছন্দ। সর্বোপরি তার মধ্যে যেন টাটকা বাঙালিয়ানার গন্ধ পাওয়া যায়। তাই দীর্ঘ এক দশক পেরিয়ে গেলেও “রান্নাঘর” আজও নিজের টিআরপি রেট ধরে রেখেছে।

দেশ-বিদেশের রান্না থেকে আরম্ভ করে বাঙালি মহিলাদের রান্নার হাতের জাদু দর্শকদের সামনে তুলে ধরে “রান্নাঘর”। প্রথম থেকেই এই শো দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। তবে ইদানিং কিন্তু এই শোয়ের জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। সর্বোপরি রান্নাঘরের মিষ্টি সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জীকে আজকাল অপদস্থ হতে হচ্ছে নেট দুনিয়ায়।

   

কেন এমনটা হচ্ছে তার সঙ্গে? কারণ, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি। এই করোনাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যেখানে প্রতি মুহূর্তে বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন, দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে রান্নাঘরের এই “শো অফ” নেটিজেনদের একেবারেই না পসন্দ। প্রকাশ্যে সুদীপার সমালোচনায় মুখর নেটিজেন।

সম্প্রতি সুদীপা সোশ্যাল সাইটে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পরিহিতা সুদীপাকে। তার সঙ্গে মানানসই গহনাও পড়েছিলেন সকলের প্রিয় সঞ্চারিকা। তার এই ছবিটি যেমন নেটিজেনদের একাংশ পছন্দ করেছেন, তেমনি অনেকেই আবার সুদীপার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

একদল নেটিজেনের মন্তব্য, “দেশে করোনা পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে। সেখানে আপনার শাড়ি আর গয়নার কালেকশন শো অফ করার জন্য এটা সঠিক সময় নয়”! আরেকদল এও বলেছেন, “কত মানুষ স্বজন হারিয়েছেন, কত মানুষ খিদের জ্বালা সহ্য করছে, কত মানুষ অক্সিজেন ও বেডের জন্য হাহাকার করছেন, আর উনি রান্না শেখাচ্ছেন। বারো মাস ব্যবসা করুন, তবে এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান দয়া করে”।