বিশ্বে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়ানো ব্যক্তিকে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল

পুরো বিশ্ব জুড়ে মহামারী। চিনের ইউহান প্রদেশ থেকে শুরু হয় সংক্রমন এবং এখন তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লাখ লাখ মানুষের শরীরে সংক্রমিত। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে হাজারের সংখ্যায় মানুষ। দেশের পর দেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি সব রীতিমত ধ্বসিয়ে দিয়েছে এই ভাইরাস। ইতালিতে মৃত্যু মিছিল যেন থামছেই না। তার পরেই আছে স্পেন, যেখানে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্র আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,০০,০০০। পাকিস্থানে ১০০০ পেরিয়ে গেছে সংখ্যা আগেই। বাদ যায়নি ভারত। ভারতে হাজারের ঘর পেরিয়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব জুড়ে মানুষকে করেছে গৃহবন্দি এই ভাইরাস। বর্তমানে তো প্রতি ঘণ্টায় বিশ্ব জুড়ে হাজারের ওপর মানুষের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই ভাইরাসের প্রথম শিকার কে ছিলেন?

প্রথমে মনে করা হয় ইউহান প্রদেশের সি ফুড মার্কেটে একটি মেয়ে ব্যাট স্যুপ খায় এবং তার থেকেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস, সেই সময় মেয়েটির ছবিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু না। এই ভাইরাসের প্রথম শিকার ৫৭ বছর বয়সী এক মহিলা যাকে আখ্যা দাওয়া হয় “পেশেন্ট জিরো” নামে। তবে তার আসল নাম ওয়েই গুইশিয়ান। ওই সি ফুড মার্কেটেই তিনি বিক্রি করতেন চিংড়ি মাছ।

তিনিই প্রথম ডিসেম্বর মাসে ওই রোগে আক্রান্ত হন, অবশ্য বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তার থেকেই এখন সমগ্র বিশ্ব সংক্রমিত এই রোগে। মৃত প্রায় ৫০ হাজার। সম্প্রতি এই পেশেন্ট জিরো এর বক্তব্য অনুযায়ী চীনের সরকার কোরোনা ভাইরাস এর বিপদকে আগে বুঝতে পারলে আজ এই অবস্থা হতনা বিশ্বের।

আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল থেকে জানা যায় ওয়েই গুয়েইশিন গত বছর ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ হুনান সি ফুড মার্কেটে চিংড়ি বিক্রি করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।ফ্লু জাতীয় কিছুর কথা ভেবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ইঞ্জেনকশ নেন তিনি, কিন্তু তাতেও সুস্থ্য বোধ করেন নি।

এর পর গিয়েছিলেন উহানের ইলেভেন্থ হাসপাতালে, ফল পাওয়া যায়নি তাতেও। শেষে ১৬ ডিসেম্বর তিনি যান উহান ইউনিয়ন হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে রীতিমত অবাক তিনি। তার মতন একই রকম উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন আরও অনেকে। ডিসেম্বরের শেষে যখন কোরোনা ভাইরাস আক্রমণের বিষয়টি স্পষ্ট হয় তখন কোয়ারান্টাইন করা হয় তাকে।