১৫ এপ্রিল থেকে কি ট্রেন চলবে, কি বলছে রেল কর্তৃপক্ষ

ভারতের সবথেকে বড় যোগাযোগ মাধ্যম হলো এই রেল পরিষেবা। ভারতীয় রেলে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় এই বিপদ যোগাযোগ মাধ্যমকে থামিয়ে দিতে হয় ভাইরাসের সংক্রমণ শৃংখল ভাঙতে। আর রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্তব্ধ হয়ে যায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার লাইফ লাইন।

২১ দিনের লকডাউন সমাপ্ত হবে আগামী ১৪ ই এপ্রিল রাত্রি ১২ টায়। আর তারপরেই রেল পরিষেবাকে সচল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এমনই খবর শনিবার ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। আর এই সংবাদের সূত্র হিসাবে বলা হয়, সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় রেলের সমস্ত পরিষেবা যাতে ১৫ই এপ্রিল থেকে শুরু করা যায় তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে ভারতীয় রেল দপ্তর কি বলছে?

দেশে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই জনতা কারফিউয়ের দিন থেকে ধাপে ধাপে রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন চলাচল বন্ধ করতে শুরু করেছিল। জনতা কারফিউয়ের দিন বন্ধ করা হয়েছিল সমস্ত রকম লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা। হাতেগোনা কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন তাদের গন্তব্যে পৌঁছায় যেগুলি সেদিন ভোর চারটের আগে রওনা দিয়েছিল। তারপরেই লকডাউন শুরু হওয়ার দিন থেকে বন্ধ হয় সমস্ত রকম রেল পরিষেবা। কেবলমাত্র সচল থাকে পণ্যবাহী ট্রেন, যাতে করে দেশে জরুরি পণ্যের কোনোরকম খামতি না ঘটে। তবে লকডাউন উঠে গেলে যাতে রেল পরিষেবা ব্যাহত না হয় তার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ, এই দাবি রেল কর্তৃপক্ষ নস্যাৎ করেছে।

আরও পড়ুন :- ট্রেনের টিকিট হারিয়ে ফেলেছেন? ডুপ্লিকেট টিকিট পাবেন কীভাবে?

ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লকডাউনের পর রেলের পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রেল। ইত্যাদি নানান বিষয়ে যে সকল খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সকল খবরের ভিত্তিতে জানানো হচ্ছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে তা পরবর্তীকালে জানানো হবে।”

https://www.facebook.com/RailMinIndia/posts/1639555922858062

আরও পড়ুন :- লাইন দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার দিন শেষ! চালু হল রেলের নতুন পরিষেবা

ভারতের সবথেকে বড় যোগাযোগ মাধ্যম হলো এই রেল পরিষেবা। ভারতীয় রেলে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় এই বিপদ যোগাযোগ মাধ্যমকে থামিয়ে দিতে হয় ভাইরাসের সংক্রমণ শৃংখল ভাঙতে। আর রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্তব্ধ হয়ে যায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার লাইফ লাইন। এমনিতে স্বাভাবিক পরিষেবায় ভারতে প্রতিদিন প্রায় ১৩০০০ ট্রেন চলাচল করে।