

২০১৭ এর ১৬ই জুন চীন সিকিম ও ভুটানের ডোকলাম সীমান্ত দখল করে। তীব্র উত্তেজনা শুরু হয় ভূটান, ভারত ও চীনের সঙ্গে। তবে আলাপ আলোচনার পর ২৮ শে আগষ্ট চীন তাঁর দখলকৃত অংশ থেকে সৈন্য সরালে ভারতও সৈন্য সরিয়ে নেয়। সাময়িকভাবে সমস্যা মিটে যায় দুইপক্ষের মধ্যে।
কিন্তু গত কয়েক মাসে চীন নতুন করে লাদাখের পেঙগঙ লেক, গলবান উপত্যকা ও হটস্প্রিং এলাকায় যা LAC নামে পরিচিত Line of actual control এলাকা দখল করে নেয়। এই এলাকাগুলির সীমানা এখনো নির্ধারিত হয়নি যা ভারত ও চীন ১৯৪৯ সাল থেকে মেনে আসছিল।
কিন্তু চীন বর্তমানে এগুলি নিজের এলাকা বলে দাবি করছে। ভারতকে চাপে রাখার মরিয়া কৌশল হিসাবে। কারণ, এর পিছনে লুকিয়ে চীন ভারতের এক অন্য ইতিহাস। কী সেই ইতিহাস?
চীন ভয় পাচ্ছে ভারত তীব্বতকে স্বাধীন করে দেবে। ঘটনার শুরু ১৯৪৯ সালে। ১৯৪৯ সালে চীন তীব্বত দখল করে নেয়। চীনের প্রধান গুরু দলাই লামা ৮০,০০০ হাজার তীব্বতীকে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। জহরলালের ইচ্ছায় দলাই লামার নেতৃত্বে তীব্বতীদের শাষিত করার জন্য একটি কাউন্সিল গঠন করা হয় (CTA) ১৯৫৯ সালে। ২০০৬ সালে ভারতে প্রথম তীব্বতী সরকার স্থাপন কর হয়। যার নাম TPIE (Tibetan parliament in exile)। লক্ষ্য তীব্বতকে স্বাধীন করা। এরপরই চীন তীব্বত হারানোর ভয়ে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা শুরু করে।
আরও পড়ুন :- চীনকে উচিত শিক্ষা দিতে ভারতের কাছে রয়েছে ৫টি বিকল্প
জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ উঠে যাওয়ার পরও লাদাখের মানচিত্র বদলে যাওয়ায় চীন সরকার প্রমাদ গুনতে থাকে। ভারতের সীমান্ত কৌশলে দখল না করলে তীব্বত হাতছাড়া হতে পারে এই ভয় চীনকে বর্তমানে মরীয়া করে তুলেছে। তীব্বত হারালে সমস্ত জলের উৎস হারাবে যা চীনকে কৃষিতে দুর্বল অর্থনৈতিক ভাবে শেষ করে দেবে। সে কারণেই চীনের ভারতের সীমান্ত দখলের রাজনীতি বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন :- সেদিন রাতে ঠিক কি হয়েছিল, শুনুন বেঁচে ফেরা এক জওয়ানের মুখে
তীব্বতীরা বিশ্বজুড়ে এক নির্বাচিত সরকার তৈরি করেছে প্রথম ধাপ হিসাবে। দ্বিতীয় ধাপ তীব্বতে চীনকে হটিয়ে স্বাধীন করা। যা চীন সরকারকে আতঙ্কিত করে তুলছে। তীব্বত হারানোর ভয় চীনে করে তুলছে প্রতিদিন আগ্ৰাসী।