এই কয়েকটি কারণের জন্যই একের পর এক বাংলা সিনেমা বয়কট করছে দর্শকরা

এখন বলিউডে কী চলছে? নতুন কোনও সিনেমা, নাকি কোনও তারকার গসিপ? না, এখন বলিউডে না কোনও নতুন সিনেমা চলছে, আর না গসিপ। গোটা বলিউড জুড়ে এখন শুধুই বয়কটের (Boycott) ডাক। বলিউডকে বয়কট করার ডাক দিচ্ছেন দর্শকরা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর নেপোটিজম বিতর্ক থেকেই বলিউডের দুর্দিন শুরু। কিন্তু টলিউডেও (Tollywood) কেন সেই একই কালচার চলছে?

বলিউডের মত টলিউডেও রয়েছে নেপোটিজম। অল্প বিস্তর ড্রাগ কেস টলিউড ঘেঁটে দেখলেও পাওয়া যাবে। তবুও কখনও টলিউড বয়কটের ডাক ওঠেনি দর্শকদের মধ্যে থেকে। কিন্তু হালফিলে নতুন দুই বাংলা ছবির ট্রেলার দেখেই চটে লাল দর্শকরা। রাজ চক্রবর্তী ‘ধর্মযুদ্ধ’ নিয়ে যেন সোশ্যাল মিডিয়াতে যুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে ‘বিসমিল্লাহ’ যতই প্রেম নিবেদন করুক, দর্শকদের ভালোবাসা আদায় করতে পারছে কি?

আসলে কী চাইছেন দর্শকরা? কেন টলিউড বয়কট করা নিয়ে এত মাতামাতি চলছে? কারণ হিসেবে একদল দর্শকের মত তারা আসলে হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেয় এমন কোনও সিনেমা দেখতে চান না। ধর্মযুদ্ধ থেকে বিসমিল্লাহ, হালফিলেই মুক্তি পেয়েছে ‘লক্ষ্মী ছেলে’র ট্রেলার, সবেতেই সাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম নিয়ে ছেলে খেলা হচ্ছে, দাবি দর্শকদের।

এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেনরা। তারা ভারতবর্ষ এবং বাংলার ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে যতই সাফাই দিন না কেন, একের পর এক ছবি বয়কটের ডাক দিয়েই চলেছেন একদল নেটিজেন। টলিউডের সিনেমা নির্মাতারা যতই সম্প্রীতির বার্তা দিন না কেন, দর্শকরা তাদের অবস্থানে অনড়।

 

বয়কটের পেছনে শুধু কি এই একটিই কারণ রয়েছে? দর্শকরা কিন্তু তেমনটা বলছেন না। তারা তো হালফিলের বঙ্গ সম্মাননা অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করেও মন্তব্য করছেন, ‘সোহম যদি মহানায়ক আর নুসরাত যদি মহানায়িকা হন তাহলে এটা হওয়া দরকার।’ আসলে বঙ্গ সম্মাননা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে মহানায়ক এবং মহানায়িকা সম্মান পেয়েছিলেন সোহম চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহান। দর্শকদের একাংশের কাছে বিষয়টা ঠিক গ্রহণযোগ্য ঠেকেনি।

তবে এতে অবশ্য পিছিয়ে আসার পাত্র নন টলিউড তারকারা। রাজের কথায় যে দর্শকরা বয়কটের ডাক দিচ্ছেন তারা আসলে ‘পাগল ছাগল’। আর সোহম তো স্পষ্টই যারা বয়কটের কথা বলছেন তাদের কথা বলার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথমে বলিউড, এখন টলিউড, বয়কট বিতর্কে কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কারণ দর্শকরা যত বেশি টলিউড এবং বলিউডকে বয়কটের ডাক দিচ্ছেন ঠিক ততটাই ঝুঁকছেন দক্ষিণী সিনেমার দিকে।