কাদের মাস্ক পরতে হবে আর কখন মাস্ক পরতে হবে জানিয়ে দিল WHO

এখনও বিশ্বে কোরোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দেশেও ভয়াবহ মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ। অন্য দিকে অর্থনীতির বেহাল অবস্থার কারণে ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে স্তব্ধ জনজীবন। ভাইরাসের এখনও পর্যন্ত নেই কোনও প্রতিষেধক। কোরোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে এই কঠিন সত্য মেনে নিয়েই বাড়ির বাইরে পা রাখছেন মানুষ।

ব্যাস্ত সময় ফিরলেও ফিরবেনা আগের অভ্যেস। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে একাধিক পরিবর্তন ঘটবে, যার মধ্যে অন্যতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব এবং আবশ্যিক ভাবে মাস্কের ব্যবহার। এবার এই মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুক্রবার রাতে একটি নতুন নির্দেশিকা জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হ্ন। এই দিন হ্ন এর প্রধান টেড্রস আধানম একটি প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে মাস্কের ব্যবহারের সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বলেন।

মাস্ক কারা পরবেন, কখন পরবেন?

প্রথমত তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহার করা কোনোভাবেই পরিচ্ছন্নতা বজায় বা সামাজিক দূরত্ব পালনের বিকল্প নয়, বরং সেই নিয়ম গুলির পরিপূরক হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।

দ্বিতীয়ত তিনি বলেন, যেইসব অঞ্চল ভীষন ভাবে সংক্রমিত সেখানে যাতে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে সেই বিষয় নজর রাখতে হবে সরকারকে। সরকারকেই মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। বিশেষত ভিড় এলাকায়, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। নাহলে আরও দ্রুত ছড়াবে সংক্রমণ।

তৃতীয়ত তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল এরিয়াতে মেডিক্যাল কর্মীদের জন্য মাস্ক আবশ্যিক। কিন্তু তা বাদে অন্যান্য যারা সেখানে থাকবে সবাইকেই মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

চতুর্থত, যেহেতু পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে ষাট বছরের বেশী বয়সি মানুষরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ যেসকল অঞ্চলে ছড়িয়েছে সেখানে ষাট বছরের বেশী বয়সি মানুষদের মেডিক্যাল মাস্ক পড়তেই হবে।এছাড়াও ভিড় এলাকায় গেলেই মাস্ক বাধ্যতামূলক।

এছাড়া তিনি জানান যে হ্ন এর অনুরোধেই ফেব্রিক মাস্কের ব্যাপারে গবেষণা করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ফেব্রিক মাস্কের মধ্যে অন্তত তিন রকমের মেটিরিয়ালের স্তর থাকে।বিভিন্ন দেশে প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে চলতে থাকা বিভিন্ন গবেষণার সাথেও যোগাযোগ রাখছে হু এবং জানা গেছে প্রতিষেধক বাজারে আসতে এখনও ঢের দেরি। ততদিন একমাত্র মানুষের সতর্ক আচরণই এই ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকানোর একমাত্র উপায় হতে পারবে।